পাতা:বৈকুণ্ঠের খাতা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তৃতীয় দৃশ্য।
৪৫

 ঈশান। তবে চুপ করে বসে থাক্‌ব?

 বৈকুণ্ঠ। না, আমি একটা উপায় ঠাউরেছি! এখানে জায়গাতেও আর কুলচ্চেনা—এঁদের সকলেরই অসুবিধে হচ্চে দেখতে পাচ্চি—তা ছাড়া অবিনাশের এখন ঘরসংসার হল—তার টাকা কড়ির দরকার, তার উপরে ভার চাপাতে আমার আর ইচ্ছে নেই—আমি এখান থেকে যেতে চাই—

 ঈশান। সে ত মন্দ কথা নয়— কিন্তু—

 বৈকুণ্ঠ। ওর আর কিন্তু টিন্তু নেই ঈশেন। সময় উপস্থিত হলেই প্রস্তুত হতে হয়।

 ঈশান। তোমার লেখা পড়ার কি হবে?

 বৈকুণ্ঠ। (হাসিয়া) আমার লেখা! সে আবার একটা জিনিষ! সবাই হাসে আমি কি তা জানিনে ঈশেন? ওসব রইল পড়ে। সংসারে লেখায় কারো কোন দরকার নেই!

 ঈশান। ছোট বাবুকে ত বলে কয়ে যেতে হবে?

 বৈকুণ্ঠ। তা হলে সে কিছুতেই যেতে দেবে না। সে ত আর আমাকে যাও বল্‌তে পারবে না ঈশেন! গোপনেই যেতে হবে— তার পরে তাকে লিখে জানাব। যাই আমার নীরুকে একবার দেখে আসিগে!

(উভয়ের প্রস্থান)

তিনকড়ি ও কেদারের প্রবেশ।

 তিনকড়ি। দাদা, তুইত আমাকে ফাঁকি দিয়ে হাঁস-