পাতা:বৈকুণ্ঠের খাতা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



বৈকুণ্ঠের খাতা।

প্রথম দৃশ্য।

কেদার ও তিনকড়ি।

 কেদার। দেখ্ তিনকড়ে-অবিনাশ ত আমার গন্ধ পেলেই তেড়ে আসে —

 তিন। মানুষ চেনে দেখ্চি, আমার মত অবোধ নয়!

 কেদার। কিন্তু আমি প্রতিজ্ঞা করেছি, আমার শ্যলীর সঙ্গে তার বিবাহ দিয়ে এই জায়গাটাতেই বসবাস করব, মার ঘুরে বেড়াতে পারিনে

 তিন। টিঁক্তে পারবে না দাদা। তোমার মধ্যে একটা ঘুর্ণি আছেন, তিনিই বরাবর ঘুরিয়েছেন এবং শেষ পর্য্যন্ত ঘোরাবেন।

 কেদার। এখন অবিনাশের দাদা বৈকুণ্ঠকে বশ কবতে এসে আমার কি দুর্গতি হয়েছে দেখ্। কে জানত বুড়ো বই লেখে! এত বড় একখানা খাতা আমাকে পড়তে দিয়ে লে গেছে—

 তিন। ওরে বাবা! ইঁদুরের মত চুরি করে খেতে এসে খাতার জাঁতাকলের মধ্যে পড়ে গেছ দেখ্‌চি!