ঈশান। তা কি আর জানেন না? তিনি যদি এর মধ্যে না থাক তেন, তা হলে কি আর বুড়িটা সাহস কর ত—
বৈকুণ্ঠ। দেখ্ ঈশেন, তোর কথাগুলো বড় অসহ্য! তুই একটা মিষ্টি কথা বানিয়েও বলতে পারিস নে? এতটুকু বেলা থেকে আমি তাকে মানুষ করলুম,—একদিনের জন্যেও চোখের আড়াল করি নি,—আমি চলে গেলে তার কষ্ট হবে না—এমন কথা তুই মুখে আনিস্ হারামজাদা বেটা! সে জেনে শুনে আমার নীরুকে কষ্ট দিয়েছে! লক্ষ্মীছাড়া পাজি, তার কথা শুনলে বুক ফেটে যায়!
(“ভাব্তে পারিনে পরের ভাবনা” গাহিতে
গাহিতে বিপিনের প্রবেশ।)
বিপিন। ভেবেছিলুম ফিরে ডাকবে। ডাকে না যে! এই যে বুড়ো এইখেনেই আছে। বৈকুণ্ঠ বাবু আমার জিনিষপত্র নিতে এলুম। আমার ঐ হুঁকোটা, আর ঐ ক্যাম্বিসের ব্যাগটা। ঈশেন শীগ্গির মুটে ডাক।
বৈকুণ্ঠ। সে কি কথা—আপনি এখানেই থাকুন! আমি করযোড় করে বল্চি আমাকে মাপ করুন্ বেণী বাবু।
বিপিন। বিপিন বাবু।
বৈকুণ্ঠ। হাঁ, হাঁ, বিপিন বাবু! আপনি থাকুন্— আমরা এখনি ঘর খালি করে দিচ্চি।
বিপিন। এ বইগুলো কি হবে?