এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫০
বৈকুণ্ঠের খাতা।
বৈকুণ্ঠ। সমস্তই সরাচ্চি। (শেল্ফ হইতে বই ভূমিতে নাবাইতে প্রবৃত্ত)
ঈশান। এ বই গুলিকে বাবু যেন বিধবার পুত্রসন্তানের মত দেখ্ত—ধূলো নিজের হাতে ঝাড়ত— আজ ধূলোয় ফেলে দিচ্চে! (চক্ষু মোচন)
বিপিন। কেদারের ঘরে আফিমের কৌটা ফেলে এসেছি—নিয়ে আসিগে! ভাব্তে পারিনে পরের ভাবনা লো সই!”
(প্রস্থান।)
তিনকড়ির প্রবেশ।
তিন। এই যে পেয়েছি, বৈকুণ্ঠ বাবু! ভাল ত?
বৈকুণ্ঠ। কি বাবা, তুমি ভাল আছ? অনেক দিন দেখিনি।
তিনকড়ি। ভয় কি বৈকুণ্ঠ বাবু, আবার অনেক দিন দেখ্তে পারেন। ধরা দিয়েছি; এখন আপনার খাতাপত্র বের করুন্!
বৈকুণ্ঠ। সে সব আর নেই তিনকড়ি— তুমি এখন নিশ্চিন্তমনে এখানে থাকতে পারবে।
তিনকড়ি। তা হলে আর লিখ্বেন না?
বৈকুণ্ঠ। না, সে সব খেয়াল ছেড়ে দিয়েছি।
তিনকড়ি। ছেড়ে দিয়েছেন সত্যি বল্চেন?