পাতা:বৈকুণ্ঠের খাতা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বৈকুণ্ঠের খাতা।

 কেদার। কিন্তু তিনকড়ে, তুইই আমার সব প্ল্যান্ মাটি করবি।

 তিন। কিছু দরকার হবে না দাদা, তুমি একলাই মাটি করতে পারবে!

 কেদার। দেখ্ তিনু, এসব ব্যস্ত হবার কাজ নয়। গণেশকে সিদ্ধিদাতা বলে কেন—তিনি মোট লোকটি, খুব চেপে বসে থাকতে জানেন, দেখে মনে হয় না ষে তাঁর কিছুতে কোনো গরজ আছে —

 তিনকড়ি। কিন্তু তাঁর ইঁদুরটি—

 কেদার। ফের বক্‌চিস? লক্ষ্মীছাড়া, তুই একটু আড়ালে যা!

 তিন। চল্লুম দাদা। কিন্তু ফাঁকি দিয়ো না। সমস্ত্র কালে অভাগা তিনকড়েকে মনে রেখো!

(তিনকড়ির প্রস্থান)

বৈকুণ্ঠের প্রবেশ।

 বৈকুণ্ঠ। দেখ‍্চেন কেদার বাবু?

 কেদার। আজ্ঞে হাঁ, দেখ্চি বই কি! কিন্তু আমার মতে— ওর নাম কি—বইয়ের নামটা যেন কিছু বড় হয়ে পড়েচে।

 বৈকুণ্ঠ। বড় হোক্, কিন্তু বিষয়টা বেশ পরিষ্কার বোঝা