পাতা:বৈজ্ঞানিক সৃষ্টিতত্ত্ব - অক্ষয়কুমার চট্টোপাধ্যায়.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইলেকট্রন সমূহের স্পন্দন ও গতি হইতে উদ্ভূত হইয়া থাকে। তড়িতের (electricity) গতি ইলেকট্রন (Electron) দ্বারাই সঞ্চারিত হয়। অল্ট্রা ভাইয়োলেট (ultra violet) ও রঞ্জন Rontgen রশ্মি সকলের প্রকাশ ঐ ইলেকট্রন দ্বারাই আবার হইয়া থাকে। ইলেক্ট্রন (Electron)একটি জড় পদার্থ, কি কোন রুদ্ধ শক্তির স্ফূরণ? কোন কোন আধুনিক বৈজ্ঞানিকের মতে জড় বলিয়া কোন পদার্থ-ই নাই। যাহা জড়পদার্থ রূপে আমাদের ইন্দ্রিয়গোচর হয় উহা কোন অনির্ব্বচনীয় রূদ্ধ শক্তির স্ফুরণ। ঐ রুদ্ধ শক্তির স্ফুরণ বৈজ্ঞানিক সার অলিভার লজ ঐ সম্বন্ধে যাহা বলিয়াছেন তাহা নিম্ন ইংরাজিতে উদ্ধৃত করা হইল। "In the theory of relativity matter is recognized as one of the forms, which energy may take and it is believed that matter can turn into radiant energy under some conditions. In that sense matter may be called destructible but its intrinsic energy is not. Nothing goes out of existence but only change its form." এইবার আমি এই পৃথিবী ও সৌরজগতের আদি ও উৎপত্তির বিষয় কিছু বলিব। আধুনিক বৈজ্ঞানিকগণ এই অনন্তব্যাপী শূন্যময় আকাশে ইথার (Ether) নামক একই পদার্থের অনুমান করেন। এই ইথারের কোন প্রকার আঁকার বা গুরুত্ব নাই। ইহা শূন্যমান আকাশের সম্পূর্ণ রূপে পরিব্যাপ্ত। আকাশে এমন কোন স্থান খালি নাই যেহানে ইথার নাই। কোটি কোটি মাইল দূরে অবস্থিত গ্রহনক্ষত্রাদি হইতে যে আলোক পৃথিবীতে আসিয়া আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়, তাহা এই ইথারের কম্পনে হইয়া থাকে; এবং ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক দৃশ্য (electromagnetic