পাতা:বৈজ্ঞানিক সৃষ্টিতত্ত্ব - অক্ষয়কুমার চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈজ্ঞানিক সৃষ্টিতত্ত্ব ১০


বা বিভিন্ন ভাবে বিন্যস্ত থাকে। উহাদের আকার কোনটা বা এত ছোট যে একটি বিন্দুমাত্র কেবল অনুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে দৃষ্টিগােচর হয়। অতি ক্ষুদ্র সেলগুলির উপাদান সকল অনুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যেও দৃষ্টিগােচর হয় না। অপেক্ষাকৃত বৃহৎ সেলগুলির অভ্যন্তরস্থ ভিন্ন ভিন্ন উপাদান সকল যন্ত্র সাহায্যে জানিতে পারা যায়। পূৰ্বে বলিয়াছি সেলের অভ্যন্তরস্থ উপাদান সকলকে বৈজ্ঞানিক ভাষায় প্রােটোপ্লাজম (Protoplasm) বলা হয়। ইহা জলবৎ এক প্রকার তরল পদার্থে নির্মিত এবং ইহার উপরিভাগ অতি পাতলা একটা আবরণীর দ্বারা বেষ্টিত থাকে। এই প্রােটোপ্লাজমে (Protoplasm) অনেক সংখ্যক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অর্ব্বুদ (granules) থাকে। এই সকল অর্ব্বুদের কতকগুলি জীবের পাকস্থলী, চক্ষু, কর্ণ, নাসিকাদি ইন্দ্রিয় সকল গঠন বিষয়ে সাহায্য করে, অপর কতকগুলি সেলের (cell) খাদ্যরূপে ব্যবহৃত হয় ও তাহাদের পােযণ কার্যের সহায়তা করে। সেল সকলের অভ্যন্তরে মধ্যবিন্দু বা নিউক্লিয়াস (nucleus) নামে একটি গােলাকার পদার্থ থাকে। ইহার আকৃতি সেলের আকৃতি অনুযায়ী ছােট বড় হইয়া থাকে। ১নং চিত্র দেখ।
অতি নিম্নস্তরের উদ্ভিদ বা জীবদেহে একটিমাত্র সেল থাকে। তাহা বাহ্য বস্তুর সংশ্রবে থাকিয়া তাহা হইতে আহার গ্রহণ করিয়া ক্রমশঃ কিয়ৎ পরিমাণে বৃদ্ধি প্রাপ্ত হইয়া দ্বিখণ্ডিত হয়; ঐ খণ্ডিত অংশগুলি আবার দ্বিখণ্ডিত হয়। এইরূপে অসংখ্য সেলের (cell) উৎপত্তি হইয়া থাকে। এই সেল সকলই সর্বপ্রথম উৎপন্ন উদ্ভিদ বা জীবের বংশ রক্ষা ও বংশবিস্তার করিতে থাকে। উচ্চতর স্তরের জীবদেহে অনেকগুলি সেল থাকে তাহারা ঐসকল জীবের দেহের ভিন্ন ভিন্ন অংশ সকল গঠন করে। জীবন ব্যাপারের পৃথক পৃথক কার্য সম্পাদন করিবার জন্য তাহারা জীবদেহের ভিন্ন ভিন্ন স্থানে অবস্থান করে। অম্লজান (oxygen), 'জলজান বা উদজান