পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণবাচার্য্য মধব গুণ-সেীসাদৃশু লক্ষ্য করিয়া যে একত্বের ইঙ্গিত আছে, তাহা উপাসনার । সৌকর্য্যার্থে জানিলে । ‘নাদেবো দেবমৰ্চয়েৎ’ অর্থাৎ আদেব যে প্রকার দেবতার অর্চন করিতে পারে না, সেইরূপ চেতন না হইলে পরম চেতনের অৰ্চনা হয় না। সেবার সৌকর্য্যার্থ সেব্য-সেবকের সোসাদৃগু কখনই একত্ব নহে, ইহা কখনই বিস্মৃত হইও না । ভ্রান্ত কেবলাদ্বৈতবাদিগণ অসুরমোহনপর বেদান্তের ভাষ্যের দ্বারা বিমোহিত হইয়া যে আত্মবঞ্চনা ও লোক-বঞ্চনায় প্রমত্ত হইয়াছে, প্রাণান্তেও সেই ভ্রান্ত-মত স্বীকার করিও না।” প্রাজ্ঞতীর্থ-যতি স্বীয় স্নিগ্ধ শিষ্য অচু্যতপ্রেক্ষকে এইরূপ উপদেশ প্রদান পূৰ্ব্বক পরলোক গমন করিলেন । এদিকে অচ্যুতপ্রেক্ষ শ্ৰীগুরুদেবের আদেশ শিরে ধারণ করিয়া মুকুন্দ-সেবায় রত থাকিলেন । ভাবিকালে কেবলtদ্বৈতিগণের মঙ্গলবিধানের জন্ত অন্তরে অচ্যুতনিষ্ঠ এবং বাহে বিমুখ-বঞ্চনা করিয়া কেবলাদ্বৈতবাদিগণের হ্যায় অবস্থান পূৰ্ব্বক মারাবাদ-ভাষ্য অধ্যয়ন-অধ্যাপনাদি করিতে থাকিলেন । পাজকাক্ষেত্রে শ্ৰীনারায়ণ ভট্রের গৃহে বাসুদেবের আবির্ভাবের পর হইতে অচ্যুতপ্রেক্ষের হৃদয়ে স্বতঃই নির্ভীকতা ও আনন্দের সঞ্চার হইল। এদিকে অচ্যুতপ্রেক্ষ রজতপীঠপুরস্থ অনন্তেশ্বর দেবালয়ে আগমন করিয়া শেষশায়ী বিষ্ণুর আরাধনা করিতে লাগিলেন। .. একদিন অচ্যুতপ্রেক্ষ রজতপীঠপুরে একটা দৈববাণী শুনিতে পাইলেন —“হে অচ্যুতপ্রেক্ষ! তুমি শীঘ্রই তোমার কোন এক শিষ্যের নিকট আমার তত্ত্ব জানিতে পরিবে, জগৎ অচ্যুতপ্রেক্ষের প্রতি aণ হইতে অচিরেই মায়াবাদ রাহু পলায়ন করিবে, তোমার সেই শিষ্যের দ্বারা ভগবৎসেবাপরায়ণ সজ্জনগণের আনন্দ-বৰ্দ্ধন হইবে।” _ ] برایط [