পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়োদশ অধ্যায় বাস্থদেবের সন্ন্যাস বাসুদেব মাতা, পিতা বা আত্মীয়-স্বজন কাহাকেও না জানাইয়াই একাকী সদগুরুর অনুসন্ধান এবং তাহার পাদপদ্মে চিরতরে আত্মবিক্রয়ের আদর্শ প্রদর্শনের জন্ত গৃহ পরিত্যাগ করিয়া রজতপীঠপুরে চলিয়া আসিয়াছেন । বাসুদেব তখন মাতা-পিতার একমাত্র পুত্র—মাতা-পিতার নয়নের মণি, আত্মীয়স্বজন, সমাজ, দেশ,—সকলেরই একমাত্র প্রাণস্বরূপ ; কিন্তু বাসুদেবের হৃদয় আজ বিশ্ব-জীবের দুঃখে আদ্র হইয়া উঠিয়াছে। সামান্ত গৃহ-সুখ, আত্মীয়স্বজনের স্নেহ-সম্ভাষণের আপাত-মোহ-যাহা জীবকে জন্মজন্মান্তর জীবনান্তকাল পর্য্যন্ত গৃহব্রত-ধৰ্ম্মে আবদ্ধ করিয়া রাখে, সেই গৃহাসক্তির ক্ষুদ্র মোহ বিশ্বজীব-দুঃখকাতরতার সহিত তুলাদণ্ডে স্থাপন করিলে কত অকিঞ্চিৎকর, তাহা জানাইবার জন্ত বাসুদেব মাতা-পিতা প্রভৃতি গুরুবৰ্গ, এমন কি, বয়স্য স্বজনগণকেও না বলিয়া সন্ন্যাস-গুরুর সন্ধানে ছুটিয়াছেন। 爭 • সাধারণ লৌকিক বিচার এই যে, সৰ্ব্ব-বিষয়েই মাতা-পিতার অনুমতি গ্রহণ করা আবশু্যক । কেহ কেহ বলিয়া থাকেন যে, মাতা-পিতার অনুমতি ব্যতীত ধৰ্ম্মণদি যাজন ব। @ সন্ন্যাসাদি আশ্রমান্তর-গ্রহণ করা বিশেষ দোষাবহ । এইরূপ বিচারসম্পন্ন ব্যক্তিগণ বলেন যে, শঙ্করাচার্য্য প্রভূতি লোকমান্ত পুরুষগণও যে কোন প্রকারে হউক মাতা-পিতার অনুমতি গ্রহণ করিয়া সন্ন্যাস-বেশ ধারণ করিয়াছিলেন। কিন্তু এইরূপ বিচার যে সম্পূর্ণ সন্ন্যাসগ্রহণে ব্যাকুলত৷ ভোগোমুখ সংসার