পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়োদশ অধ্যায়—বাস্থদেবের সন্ন্যাস শতমুখী চেষ্টা দেখাইরা থাকেন। স্বামী, স্ত্রী, স্বজন, বন্ধু অভিমানেও এইরূপ ভোগ-বিলাস-বৈচিত্র্যের তাওব-নৃত্য জগতে কতই না দৃষ্ট হইয়া,থাকে ! বামুদেবের চিত্তে বালোই এই সকল কথা ফুৰ্ত্তি পাইয়াছিল। তাই মাত্র দ্বাদশবর্ষ বয়স্ক কিশোর বালক মাতা, পিতা, স্বজন, বন্ধু কাহারও কোনপ্রকার অপেক্ষা না করিয়া কিম্বা তাহাদের নিকট নিজ সঙ্কল্প না জানাইয়াই পাজকাক্ষেত্র হইতে রজতপীঠপুরে শ্ৰীঅচ্যুতপ্রেক্ষের নিকট আসিয়া উপস্থিত হইলেন । বান্বদেবের রজতপীঠ পুরে পলায়ন এদিকে পুত্রবৎসল জনক-জননী বাসুদেবকে গৃহে দেখিতে ন পাইয়। বিভিন্ন স্থানে তাহার অনুসন্ধান করিতে লাগিলেন এবং লোকমুখে জানিতে পারিলেন যে, বাসুদেব কৃষ্ণানুসন্ধানার্থ সন্ন্যাসাশ্রম-গ্রহণে দৃঢ়সঙ্কল্প করিয়৷ রজতপীঠপুরে শ্ৰীঅচ্যুতপ্রেক্ষ নামক এক যতির আনুগত্য করিতেছেন। এই কথা শুনিবৰ্ণমাত্রই মাতা-পিতা উভয়ে পুত্রকে স্ব-গৃহে ফিরাইয়। মানিবার জন্ত রজতুপীষ্ঠপুরে উপস্থিত হইলেন এবং বাসুদেবের নিকট উপস্থিত হইয় তাহাদের বিরহ-বেদন ও নানাপ্রকার অভিযোগ জানাইতে লাগিলেন,—“বৎস বাসুদেব, তুমি আমাদের প্রাণ, তুমি গুহ পরিত্যাগ করিলে নিশ্চয়ই আমাদের শরীরে প্রাণ থাকিবে না । তুমি বুদ্ধিমান এবং বিদ্বান, মাত-পিতাকে ক্লেশ দেওয়া তোমার কখনই উচিত নহে। তুমি সন্ন্যাস গ্রহণ করিলে তোমার এই জরাজীর্ণ মাতা-পিতার প্রাণবধের ভাগী তোমাকেই হইতে হইবে ; সুতরাং এরূপ কাৰ্য্য তোমার স্তায় সুযোগ্য পুত্রের দ্বারা সাধিত হওয়া উচিত নহে । [ సెరి ] 事 মাতা-পিতার অনু मृचुझtन