পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণবাচার্য্য মধব আর যদি বল, ইহাতে আমাদের প্রাণবধ হইবে না, তাহ হুইলেও বলি, জরাজীর্ণ ও অনাথ মাতা-পিতা জীবিত থাকিতে পুত্রের সন্ন্যাস গ্রহণ হইতে পারে না । জগতে মাতা-পিতাই –প্রত্যক্ষ দেবতা, তাহাদের সেবা করিলে ভগবান সন্তুষ্ট হন । আর গৃহে থাকিয়া কি ভগবদ্ভজন হয় না ? রাজর্ষি জনকাদি রাজৈশ্বৰ্য্যে পরিবেষ্টিত হইয়াও হরিভজন করিয়াছিলেন, তুমিও গৃহে অবস্থিত হইয়াই হরিভজন কর।” বাসুদেব মাতা-পিতার এই বিলাপোক্তি ও উপদেশ শ্রবণ করিয়া বলিলেন, —“আপনাদের উক্তি যথার্থ, আপনার প্রাণের উপাসনা করুন । শকুনী যেরূপ ব্যাধের জালে আবদ্ধ হইয়া নানাদিকে আশ্রয়ের অনুসন্ধান করে, কিন্তু কোথায়ও আশ্রয় না পাইয়া অবশেষে সেই বন্ধন-দশাকেই স্বীকার করিয়া থাকে, জীবও সেইরূপ জগতের বহু বস্তুকে আশ্রয়নীয় মনে করিয় তাহাদিগকে অবলম্বন করিতে চাহে, কিন্তু যখন কোথায়ও আশ্রয় পায় না, তখন একমাত্র প্রাণেরই আশ্রয় গ্রহণ করিয়া থাকে । সেই প্রাণের বন্ধনে বদ্ধ হইলেই জীব কৃতকৃত্য হইতে পারে । আপনাদের কৃপায় যখন আচার্য্যের নিকট উপনিষৎ পাঠ করিয়াছিলাম, তখন এই উপদেশই প্রাপ্ত হইয়াছি,— i 昂 聽 “স যথা শকুনিঃ স্বত্রেণ প্রবদ্ধো দিশং দিশং পতিত্বান্তব্রোয়তনমলব্ধ, বন্ধনমেবোপশ্ৰয়ত এবমেব পলু সোম্য তন্মনো দিশং দিশং পতিত্বান্তত্রায়তনমূলক, প্রাণমেবোপশ্ৰয়তে প্রাণবন্ধনং হি সোম্য মন ইতি ” ভগবান ঐবিষ্ণুই সকল প্রাণের প্রাণ, নিখিল প্রাণী তাহাকে আশ্রয় করিলেই প্রাণময় ও অমৃতময় হইতে পারে। সেই প্রাণকে যাহারা আশ্রয় করিয়াছেন, তাহাদের মৃত্যু নাই,— [ 5 s ] মাতা-পিতার প্রতি পুত্রের উপদেশ