পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণবাচার্য্য মধব । স্বীয় পতি যাজ্ঞিক-বিপ্রগণকে তাহাদিগের ভগবদবিমুখতার জন্ত “দুঃসঙ্গ” জ্ঞানে পরিত্যাগ করিয়াছিলেন । বাসুদেব আরও বলিলেন,—হে পিতঃ, মুকুন্দ-সেবার্থ সন্ন্যাসগ্রহণের কোন কালাকাল নাই—কাহারও অপেক্ষা করিতে নষ্ট । যেদিন এই সংসারের প্রতি প্রকৃত বৈরাগ্য ు আসিবে, সেই দিনই তিনি প্রব্রজ্য গ্রহণ কাল নাই করিবেন,—“যদহরেব বিরজেং তদহরেব প্রব্রজেৎ ।” মাতা-পিতা প্রত্যক্ষ দেবতা বটে, কিন্তু অপরোক্ষ দেবতা—ভগবান বিষ্ণু—যিনি নিখিল মাতা-পিতারও দেবতা, তাহার সেবা ব্যতীত নিখিল মাতা-পিত জন্ম-জন্মান্তরের পুন্নামক নরক হইতে এাণ লাভ করিতে পারেন না। “তস্মিন তুষ্টে জগন্তুষ্টম।” সেই অতীন্দ্রির পুরুষোত্তম বিষ্ণু পরিতৃপ্ত হইলেই জগতের সকলের পরিতৃপ্তি ঘটে,— যথা তরোমুলনিষেচনেন তৃপ্যন্তি তৎস্কন্ধভুজোপশাখাঃ । তমিন তুষ্ট জগৎতুষ্টম প্রাণোপহারাচ্চ যথেন্দ্রিয়াণাং তথৈব সৰ্ব্বাহৰ্ণমচু্যতেজ্যা। যেরূপ বৃক্ষের মুলে জলসেচন করিলে উহার স্কন্ধ, শাখা, উপশাখা প্রভূতি সকলই সঞ্জীবিত হয়, প্রাণে আহাৰ্য্য প্রদান করিলে ( অর্থাৎ ভোজন করিলে ) যেরূপ সৰ্ব্বেন্দ্রিয়ের তৃপ্তি সাধিত হয়, সেইরূপ একমাত্র শ্ৰীকৃষ্ণের পূজা দ্বারাই নিখিল দেবপিত্রাদির পূজা হইয়া থাকে । পিতঃ, আপনার পূজনীয় পুরাণ-শিরোমণি ভাগবত শাস্ত্র বলিয়াছেন, যিনি সংসারের সকল কৰ্ত্তব্য পরিত্যাগ করিয়া, বাসুদেবই—সকল, —এই জ্ঞানে সেই অখিললেকশরণ্য শ্ৰীমুকুন্দের পাদপদ্মে সৰ্ব্বাস্তঃকরণে పిక ]