পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়োদশ অধ্যায়—বাসুদেবের সন্ন্যাস مقالة শরণাগত হন, তিনি ভগবদ বিমুখ কৰ্ম্মফলবাধ্য সাধারণ মানবের ন্যায় দেবতা, ঋষি, কোনও ভূত (প্রাণী), স্বজন বাপিতৃলোকের ঋণে ঋণী নহেন। দেবর্ষিভূতাপ্তবৃণাং পিতৃণাং ন কিঙ্করো নায়মৃণী চ রাজন। সৰ্ব্বাত্মনা যঃ শরণং শরণ্যং গতে মুকুন্দং পরিহত্য কৰ্ত্তম্ ॥ শরণাগত কোন খণে ঋণী নহেন ( ভীঃ ১১৫৪১ ) বাস্থদেবের মাতা-পিতা পুত্রের ঐশ্বৰ্য্য-প্রভাবেই হউক বা তাহার অতিমন্ত্য-ব্যক্তিত্বের আকর্ষণেই হউক, পুত্রকে নানা কাতরোক্তি জানাইয়া প্রদক্ষিণ ও দণ্ডবৎ প্রণাম করিলেন । তথন বাসুদেব বলিলেন—“এই জগতে পুত্র কখনও মাতপিতার প্রণম্য হয় না, কিন্তু আপনারা যখন প্রকাশ্যে আমাকে প্রণাম করিয়াছেন, তখন বুঝিতে হইবে, বিধাতা স্বয়ংই আপনাদের দ্বারা আমার সন্ন্যাসের অনুজ্ঞা প্রদান করাইয়াছেন।” সপত্নীক মধ্যগেহ ইহার কোন উত্তর দিতে ন পারিয়া অচ্যুতপ্রেক্ষ যাহাতে বাস্থদেবকে সন্ন্যাস প্রদান না করেন, তজ্জন্ত র্তাহাকে বিশেষ অনুরোধ করিয়া গৃহে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিলেন । গৃহে প্রত্যাগত হইবার পর তাহাদের এক একটি ক্ষণ যেন কল্প-পরিমিত বলিয়া মনে হইতে লাগিল। র্তাহারা নিরন্তর পুত্রের মুখচন্দ্র ধ্যান করিতে করিতে উন্মত্তের ন্যায় অবস্থান করিতে লাগিলেন । মাতা-পিতার দ্বারা কৌশলে সন্ন্যাস অমুমোদন [ •१ ]