পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়োদশ অধ্যায়—বাসুদেবের সন্ন্যাস তথাপি আপনার ন্যায় শাস্ত্রকুশল ধাৰ্ম্মিক ব্যক্তির পক্ষে পুত্রের মায়ায় মুগ্ধ হইয়া তাহার উন্নতির পথ প্রতিরোধ করা উচিত নহে ।” মধ্যগেহ ইহা শুনিয়া বলিলেন—“বাস্থদেব ! ধৰ্ম্মশাস্ত্রকারগণ মাতাপিতার রক্ষণ ব্যতীত পুত্রের অন্ত কোন মঙ্গলের কথা বলেন নাই, বিশেষতঃ তোমার যে দুইটি কনিষ্ঠ ভ্রাতা ছিল, তাহারাও মৃত্যুমুখে পতিত হইয়াছে । তুমি সন্ন্যাসাশ্রম গ্রহণ করিলে আমাদের এই বৃদ্ধকালে আর কেহই রক্ষক থাকিবে না।” বাস্থদেব বলিলেন—‘মাতা-পিতার পরিপালনই পুত্রের কৰ্ত্তব্য’—এরূপ শাস্ত্রীয়-বিধান কেবল অতি সংসারাসক্ত ও অসদ্বিষয়ে ধাবনোন্মুখ ব্যক্তিগণের জন্ত । শ্রুতিশাস্ত্র বলেন,—‘যখনই সংসারের প্রতি বৈরাগ্যের উদয় হইবে, তখনই সন্ন্যাসাশ্রম গ্রহণ করিবে ? এই পারমার্থিক শাস্ত্রের বিধি আৰ্থিক শাস্ত্রের বিধি অপেক্ষ অধিক বলবান। মধ্যগেহ বলিলেন,—“বৎস বাস্থদেব ! আমি শাস্ত্রাভ্যাস ও জ্ঞান-বিচার-বলে তোমার বিরহ হয় ত’ সহ্য করিব, কিন্তু তোমার জননী যে, কোনও রূপেই তোমার বিরহ সহ্য করিতে পরিবে না !” তখন বাস্থদেব বলিলেন,—“আচ্ছা বেশ, পূৰ্ব্বে আপনার কথাই হউক, আপনি যখন শাস্ত্রাদির বিচারের দ্বারা আমার বিরহ সহ্য (o করিতে পরিবেন বলিলেন, তখন আপনি আমাকে পিতাকে অনুমতি-দানে .” সন্ন্যাসের অনুমতি প্রদান করুন। মাতার কথা তাহার সহিত বুঝা যাইবে।” মধ্যগেহ পুত্রের বাক্যের উত্তর-প্রদানে অসমর্থ হইয়া বলিলেন,—“যদি তোমার মাতা অনুমোদন করেন, তাহা হইলে তোমার ইচ্ছানুরূপই কাৰ্য্য হউক ৷” বাস্থদেব এইরূপ কৌশলের দ্বারা সন্ন্যাসের অনুমতি গ্রহণ করিলেন। [ ಾನಿ ]