পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণবাচার্য্য মধ্ব কিছুকাল পরে মধ্যগেহ ও বেদবিদ্যার গৃহে ভগবদিচ্ছায় বাস্থদেবের একটি অনুজ জন্মগ্রহণ করিলেন । লক্ষ্মণ যেরূপ রামচন্দ্রের সেবারত ছিলেন, অর্জুন যেরূপ সৰ্ব্বদা ভীমসেনের অনুগত ছিলেন, গদ যেরূপ শ্রীকৃষ্ণের ভক্ত ছিলেন, সেইরূপ বাস্থদেবের সেবা করিবার জন্য মধ্যগেহের গৃহেও একটি পুত্ররত্বের আবির্ভাব হইল। এই সংবাদ পাইয়া বাস্থদেব একদিন গুরুগৃহ হইতে মধ্যগেহের গৃহে উপস্থিত হইলেন এবং মাতা-পিতাকে বলিলেন,—“আপনারা আমাকে বলিয়াছিলেন যে, আমি যেন আপনাদিগকে রক্ষকহীন করিয়া সন্ন্যাস গ্রহণ না করি । ভগবদিচ্ছায় আমার এই অম্বুজ আপনাদের রক্ষক ও পালকরুপে জন্মগ্রহণ করিয়াছে । জননী ঠাকুরাণী যদি আমাকে কোনও সময়ে দেখিবার ইচ্ছা রাখেন, তাহ হইলে সন্ন্যাসগ্রহণের অনুমতি প্রদান করুন। নতুবা আমি চিরকালের জন্য এই দেশ পরিত্যাগ করিয়া যাইব ।” বাস্থদেব এই কথা বলিলে কিংকৰ্ত্তব্যবিমূঢ় ও স্বভাবতঃ সংকৰ্ম্মে অনুরাগ-যুক্ত বাস্থদেব-জননী পুত্রের চিরকাল-জন্ত আদর্শন মৃত্যুরই তুল্য বিবেচনা করিয়া অতিকষ্টে পুত্রের অভীষ্ট-সাধন-বিষয়ে আর বাধা প্রদান করিলেন না। ইহার পরে বাস্থদেব গৃহ হইতে অচ্যুতপ্রেক্ষের নিকট উপস্থিত হইলেন এবং তাহাকে সন্তুষ্ট করিয়া স্বয়ং আশ্রমাতীত হইলেও সন্ন্যাসাশ্রম-গ্রহণ-লীলা প্রকাশ করিলেন। অচ্যুতপ্রেক্ষ বাস্থদেবকে ‘পূর্ণপ্রজ্ঞ’ এই সন্ন্যাস-নাম প্রদান করিলেন । অচ্যুতপ্রেক্ষ পূর্ণপ্রজ্ঞকে সন্ন্যাসাশ্রমোচিত আচারাদির শিক্ষা প্রদান করিতে উদ্যত হইয় তাহাকে স্বতঃই ঐসকল আচারের অনুষ্ঠান করিতে দেখিয়া বিস্মিত হইলেন । ধাস্বদেবের অনুজের আবির্ভাৰ