পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্দশ অধ্যায় পুর্ণপ্রজ্ঞের আচাৰ্য্যত্ব প্রকাশ পূর্ণপ্রজ্ঞ সন্ন্যাসাশ্রম স্বীকার করিবার একমাস দশ দিনের মধ্যেই বাস্থদেব প্রভৃতি কতিপয় দিগ বিজয়ী পণ্ডিতকে পরাজিত করিয়া জয়পত্র সংগ্ৰহ করিলেন। অচ্যুতপ্রেক্ষ পূর্ণপ্রজ্ঞকে অধিকতর চতুর করিবার অভিপ্রায়ে ছল-জাতিনিগ্ৰহাদি যুক্তি-পূর্ণ ইষ্টসিদ্ধি’ নামক গ্রন্থ অধ্যয়ন করাইতে ব্যগ্র হইলেন । পূর্ণপ্রজ্ঞের ঐ সকল গ্রন্থ অধ্যয়ন করিবার আগ্রহ না থাকিলেও গুরুদেবের অভীষ্ট-পূরণের জন্য তিনি ঐ গ্রন্থ শ্রবণ করিতে লাগিলেন । উক্ত গ্রন্থ-শ্রবণ-কালে পূর্ণপ্রজ্ঞ সৰ্ব্বপ্রথম শ্লোকেরই বত্রিশ প্রকার দোষ উদঘাটন করিতে লাগিলেন। মায়াবাদ-সিদ্ধান্তনিপুণ অচ্যুতপ্রেক্ষ তখন ক্রদ্ধ হইয়া বলিলেন যে, পূর্ণপ্রজ্ঞের নিকট শাস্ত্র ব্যাখ্যা করিবার ক্ষমতা আচুতিপ্রেক্ষের নাই। তখন পূর্ণপ্রজ্ঞ স্বয়ংই উক্ত মায়াবাদ-গ্রন্থ অতি সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করিলেন । • আর একদিন আচুতিপ্রেক্ষের নিকট পাচ ছয় জন ব্রাহ্মণ শ্ৰীমদ্ভাগবত শ্ৰবণের জন্য উপস্থিত হইলেন । র্তাহারা নিজ নিজ গ্রন্থানুসারে পৃথক, পৃথক, পাঠ বলিতে লাগিলেন ; কিন্তু পূৰ্ণপ্রজ্ঞ ঐ সকল পাঠের মধ্যে মাত্র একটি পাঠকেই দৃঢ়তার সহিত সঙ্গত অর্থাৎ শ্ৰীব্যাসদেবের অভিপ্রেত বলিয়৷ ব্যাখ্যা করিলেন। ইহাতে অচ্যুতপ্রেক্ষ পূর্ণপ্রজ্ঞকে বলিলেন—“বৎস! বিভিন্ন প্রকার পাঠ বিভিন্ন গ্রন্থে দেখিতে পাওয়া যায়। তোমার কথিত [ У a Y l 歌 দিগ্‌বিজয়িকুল-বিজেত শ্ৰীমধবাচার্য্য শ্ৰীব্যাস-কুত পাঠ নির্দেশ