পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্দশ অধ্যায়—পূর্ণপ্রজ্ঞের আচাৰ্য্যত্ব প্রকাশ একদিন পূর্ণপ্রজ্ঞের এক বন্ধু সন্ন্যাসী তাহার বহু শিষ্যের সহিত রজতপীঠপুরে উপস্থিত হইলেন। ই হারা সকলেই খুব উদ্ধত ও তর্কশাস্ত্রে পরম পণ্ডিত ছিলেন । র্তাহারা পূর্ণপ্রজ্ঞকে বিচারে পরাস্ত করিবার অভিপ্রায়ে একটি অনুমানমূলক তর্ক উত্থাপন করিলেন ; কিন্তু সিদ্ধান্ত-নিপুণ পূর্ণপ্রজ্ঞ উক্ত অনুমানকে স্পষ্টভাবে খণ্ডন করিলেন। তখন ঐ কুতার্কিকগণ যাহা কিছু দৃশু, তাহাই মিথ্যা – এইরূপে দৃশ্বত্বহেতু-দ্বারা সত্য-মিথ্যারূপ বিবাদের বিষয়ীভূত এই জগতেরও মিথ্যাত্ৰ সাধন করিতে উদ্যত হইলেন । দৃষ্টান্ত-স্বরূপে র্তাহারা দৃশ্য অথচ সৰ্ব্বসম্মতিক্রমে মিথ্যাভূত শুক্তিরজতের অথর্ণত শুক্তিতে ভ্রান্তি-বশতঃ প্রতীয়মান রজতের বিচার উত্থাপন করিলেন। পূর্ণপ্রজ্ঞ দৃশ্যত্ব-বশতঃই জগৎ সত্য”—এইরূপ প্রতিজ্ঞা-পূর্বক দৃষ্টান্ত-স্বরূপ দৃশ্য অথচ সৰ্ব্বসম্মতিক্রমে সত্য ঘটাদি পদার্থকে উপস্থিত করিলেন। পূর্ণপ্রজ্ঞ বিবাদের বিষয়ীভূত সত্য ও অসত্য-বিষয়ে অনুমান বলিয়া নিজেই আবার তাহার অপ্রামাণ্য প্রতিপাদন করিয়া সভার সমস্ত পণ্ডিতকে পরাজয় করিলেন । তখন হইতে র্তাহার ‘অনুমানতীৰ্থ” নাম হইল । * এই সময়ে একদিন নিখিল তাকিকের পরাভবকারী এক অদ্বিতীয় দিগ বিজয়ী পণ্ডিত রজতপীঠপুরে উপস্থিত হইলেন ; ইহার নাম— Ç বুদ্ধিসাগর। ইনি বেদবিরোধী। ইহার সঙ্গে বেদবিরোধী বুদ্ধিদাগর আসিলেন আর একজন পণ্ডিত, তাহার নাম—বাদিপরাজিত সিংহ। অচ্যুতপ্রেক্ষ দেখিলেন, ঐ পণ্ডিতদ্বয়কে একমাত্র আনন্দতীর্থ ব্যতীত আর কেহই পরাজিত করিতে পারিবে না। অচ্যুতপ্রেক্ষ তখন মঠান্তরে অবস্থান করিতেছিলেন, আনন্দতীর্থ o | تا ه لا ] আচার্য্য জানন্দতীর্থের ‘অনুমানতীর্থ নাম