পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণবাচাৰ্য্য মধ্ব গুরুদেবের আহবানে তৎসমীপে উপস্থিত হইলেন এবং বাদিসিংহের সিদ্ধান্তসমূহকে খণ্ডিত-বিখণ্ডিত করিতে লাগিলেন। কিন্তু বাদিসিংহ ত্যন্ত মাৎসর্য্যপরায়ণ হইয়া কোনও এক অভিধেয়-বিষয়ে অষ্টাদশপ্রকার বিকল্প উত্থাপন করিলেন । দর্শকগণ তখন যেন জগদবিজয়ী পূর্ণপ্রজ্ঞের জয়সম্বন্ধেও সন্দিহান হইয়া পড়িলেন। কিন্তু একমাত্র বিষ্ণুপাদপদ্মই র্যাহার আশ্রয়, তাহাকে কি কখনও কোন প্রাকৃতপাণ্ডিত্য-প্রতিভা পরাজিত করিতে পারে ? আচাৰ্য্য পূর্ণপ্রজ্ঞ হাস্য করিতে করিতে নিজ বিশুদ্ধসিদ্ধান্তবাক্যসমূহের দ্বারা অতি সত্বরই পরপক্ষের বিকল্পসমূহ খণ্ডন করিয়া ফেলিলেন। বুদ্ধিসাগরের বুদ্ধিও পূর্ণপ্রজ্ঞের ভক্তিসিদ্ধান্তের নিকট অত্যন্ত লঘু হইয়া পড়িল। তখন ঐ খলবুদ্ধি পণ্ডিতদ্বয় বলিলেন—“আগামী কল্য পুনরায় বিচার হইবে, অদ্য বিশ্রাম করা যাউক ৷” পূর্ণপ্রজ্ঞ বলিলেন—“অদ্যই বিচার হইবে, যদি আপনাদের বুদ্ধিতে আমার সিদ্ধান্তের খণ্ডন কিছুমাত্র থাকে, তবে এখনই বলুন " দর্শকগণ বুঝিতে পারিলেন যে, পণ্ডিতগণ রাত্রিযোগে পলায়ন করিবার অভিপ্রায়ে পরদিনের জন্য বিচার স্থগিত রাখিবার ছল অনুসন্ধান করিতেছেন। পূর্ণপ্রজ্ঞের শ্রোতসিদ্ধান্ত খণ্ডন করিতে পারে, এরূপ ক্ষমতা কোটি কোটি বুদ্ধিসাগর ও বাদিসিংহেরও নাই । র্তাহার এযাবৎ ভারত পর্য্যটন করিয়া যে বিজয়-শ্ৰ অজ্জন করিয়াছিলেন, তাহ পূর্ণপ্রজ্ঞ মুহূৰ্ত্তমধ্যে স্নান করিয়া দিলেন দেখিয়া দশকগণ অতিশয় বিস্মিত হইলেন । শ্রীমদ্ভাগবত বলিয়াছেন,—যাহার দেহাদিতে আমি ও আমার বুদ্ধি, সেই ব্যক্তিই মুখ ; আর যিনি বন্ধমোক্ষবিৎ, তিনিই পণ্ডিত । বাস্থদেব নিত্যসিদ্ধ বন্ধমোক্ষবিৎ আচাৰ্য্য— পণ্ডিতশিরোমণি । [ 8 ه د ]