পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্দশ অধ্যায়—পূর্ণপ্রজ্ঞের আচাৰ্য্যত্ব প্রকাশ একদিন আনন্দতীর্থ ব্রহ্মস্থত্রের শঙ্করভাষা ব্যাখ্যা করিতে করিতে উহার অসংখ্য দোষ প্রদর্শন করিতে লাগিলেন। সেই সভায় বহুতৰ্কg নিপুণ পণ্ডিত উপস্থিত ছিলেন। আনন্দতীর্থ সূত্র আনন্দতীর্থ কর্তৃকশ্রোত- ___ প্রমাণবিশিষ্ট সূত্রার্থ হইতে ভায়ের বিপরীত অর্থ ও অসঙ্গতি আতি কীৰ্ত্তন স্পষ্টভাবে দেখাইতে লাগিলেন । পণ্ডিতগণ কেহই আনন্দতীর্থের সেই সকল যুক্তি ও সিদ্ধান্ত খণ্ডন করিতে পারিলেন না । কতিপয় বাগী পণ্ডিত আনন্দতীর্থকে বলিলেন-- “আপনি কেবল শঙ্কর-ভায্যের নিরাকরণ করিতেছেন এবং আপনার যুক্তিসমূহ সকলই সমীচীন হইয়াছে ; কিন্তু এই সূত্ৰসকলের প্রকৃত অর্থ প্রকাশিত হওয়া আবশ্বক, যেন আপনার ন্যায় অন্য কোন পণ্ডিত ব্যক্তি আপনার কৃত ভাৰ্য্যকে খণ্ডন করিতে না পারে।” এই কথা শুনিয়া আনন্দতীর্থ সভা-মধ্যেই তৎক্ষণাৎ সহজ শব্দান্বয়-যুক্ত বেদ ও স্মৃতির প্রমাণবিশিষ্ট সুসঙ্গত সূত্রার্থ উচ্চারণ করিতে আরম্ভ করিলেন। একদিন আৰ্য্য মধ্যগেহও স্বীয় পুত্রের এরূপ অতিমৰ্ত্ত্য প্রতিভা দশনের সৌভাগ্য লাভ করিলেন। কোন সাংসারিক কারণে ক্লিষ্ট হইয়। মধ্যগেহ পুত্রের নিকট উপস্থিত হইলেন এবং হরিকথামৃত শ্রবণ করিয়া পরম-প্রসন্নতা লাভ করিলেন । একদিন পূর্ণপ্রজ্ঞ অচ্যুতপ্রেক্ষের সহিত তত্ত্ব বিচার করিতেছিলেন ; তখন গুরু ও শিষ্যের মধ্যে একটি কৃত্রিম বিবাদ উপস্থিত হইল। অচ্যুতপ্রেক্ষ আনন্দতীর্থকে আক্ষেপ-পূর্বক বলিলেন,—“যদি তুমি প্রকৃত ব্রহ্মস্থত্রার্থ জানিয়া থাক, তাহা হইলে ইহার স্বসঙ্গত ভাষ্য প্রণয়ন কর।” রাজহংস যেরূপ জলমিশ্রিত দুগ্ধ হইতে অসার জলভাগ ত্যাগ করিয়া ইন্ধ গ্রহণ করে, পরমহংস শ্ৰীমন্মধবাচার্য্যও সেইরূপ গুরুদেবের বাক্যের I So & Q