পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্দশ অধ্যায়—পূর্ণপ্রজ্ঞের আচাৰ্য্যত্ব প্রকাশ অর্থ বল আতিশয় অনুচিত। তখন পূর্ণপ্রজ্ঞ শঙ্করাচার্য্যকে বলিলেন,— “আমি জীব ও ব্রহ্মের ভেদ-সম্বন্ধ-যুক্ত যে-সকল সিদ্ধান্ত-বাক্য বলিয়াছি, উহার প্রত্যুত্তর যদি আপনার জানা থাকে, তবে বলুন। এই আমি ভাষ্য প্রণয়ন করিতেছি । এই ভাষ্য-প্রণয়ন কিছু রাজদণ্ডের দ্বারা নিবারিত নহে ।” শঙ্করাচার্য্যের পক্ষীয় ব্যক্তিগণ মৎসরত-বশতঃ পূর্ণপ্রজ্ঞের প্রশংসা শুনিতে পারিতেন না। এমন কি, তাহারা পূর্ণপ্রজ্ঞের দণ্ড ছেদন করিবার জন্য প্রতিজ্ঞ করিয়াছিলেন। শ্ৰীমন্মধবাচার্য্য **ণ নিজ-দও প্রদর্শনপূর্বক তাহাদিগকে বলিয়াছিলেন মৎসরতা যে, যদি তাহারা তাহার দণ্ড ছেদন না করেন, তবে তাহারা মিথ্যাবাদী ও ক্লীবতুল্য ; কিন্তু আচার্য্যের প্রভাবে তাহার দণ্ড স্পর্শ করিতে পারেন নাই। দুৰ্ব্বল ও দুষ্টচিত্ত ব্যক্তিগণ মৎসরতবশতঃ নানা কট,ক্তি করিলেও অচ্যুতপ্রেক্ষ ও পূর্ণপ্রজ্ঞ তৎপ্রতি বধির হইয়া সেতুবন্ধে চারিমাস-কাল অবস্থান-পূর্বক শ্রোত-সিদ্ধান্ত প্রচার করিলেন। শ্রীরঙ্গক্ষেত্রে শ্রীরঙ্গনাথের দর্শন ও নানা তীর্থ ভ্রমণ করিতে করিতে হরিকথা ও দ্বৈতসিদ্ধাস্ত বিস্তার করিতে লাগিলেন। ক্রমে .র্তাহারা উত্তরাভিমুখে গমন করিলেন এবং বিভিন্ন জনপদে ভ্রমণ করিতে করিতে এক দেবালয়ে কতিপয় ব্রাহ্মণের নিকট ষড়ঙ্গ-সহিত বেদশাস্ত্রের অর্থ ব্যাখ্যা করিলেন। পূর্ণপ্রজ্ঞকে দর্শন করিবার জন্য চতুর্দিক হইতে অসংখ্য লোকের সমাগম হইতে লাগিল ।