পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চদশ অধ্যায়—দিগ্বিজয় ও প্রচার পূর্ণপ্রজ্ঞ বলিলেন,—“আমি শতপ্রকার অথর্প বর্ণন করিতেছি ; আপনার সম্যগভাবে তাহার অনুবাদ করুন।” এই বলিয়া পূর্ণপ্রজ্ঞ তৎক্ষণাৎ ব্যাকরণ-শাস্ত্র-বিহিত প্রকৃতি-প্রত্যয়ের সম্বন্ধ-ভঙ্গী প্রদর্শন করিয়া অথৰ্প করিতে লাগিলেন। পূর্ণপ্রজ্ঞ নিসন্দিগ্ধচিত্তে একশত প্রকার অথৰ্প অনর্গল বর্ণন করিবার পূর্বেই ঐ সকল অর্থের ধারণা করিতে অসমথ হইয়া ব্রাহ্মণগণ আকুল হইয়া পড়িলেন। সামান্ত কূপ কি কখনও প্রলয়-বারিরাশি-ধারণে সমথ" হয় ? ব্রাহ্মণগণেরও সেই অবস্থা হইল । তাহারা মধবাচার্য্যের অতিমৰ্ত্ত্য প্রতিভা দৰ্শন করিয়া তাহাদের চপলতা ও অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রাথনা করিলেন । শ্ৰীমধ্ব এইরূপ ভাবে শত শত দিগ বিজয়ী পণ্ডিতের কুসিদ্ধান্ত দলন ও নব নব সংসিদ্ধান্ত স্থাপন করিয়। ‘আচার্য্য’ নামের সার্থকতা সম্পাদন করিতে লাগিলেন। শ্ৰীমন্মধবাচাৰ্য্য পয়স্বিনী-নদীর তীরে কেরল-দেশীয় বহু ব্রাহ্মণ-পণ্ডিতমণ্ডিত এক দেবালয়ে গমন করিলেন । ব্রাহ্মণগণ বলিতে লাগিলেন, যে, মধবাচার্য্য তর্ক ও মীমাংসা-শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিতমণ্ডলীকে পরাজিত করিতে পারিলেও তথায় সমবেত কেরলদেশবাসী পণ্ডিতগণকে কিছুতেই পরাভূত করিতে পুীরিবেন না । এইরূপ কল্পনা করিয়া উক্ত ব্রাহ্মণগণ ভিন্ন দেশীয় জনৈক পণ্ডিতকে অগ্রণী করিয়া মধ্বাচার্য্যের নিকট উপস্থিত হইলেন। তাহার সৎপাত্রে দাতা ও আদাতার যথাক্রমে স্তুতি ও নিন্দ-স্বচক এক স্থক্তের অথ জিজ্ঞাসা করিলেন। শ্ৰীমন্মধবাচাৰ্য্য ঐ স্থক্তের পৃণীয়াং’ পদের পৃণ ধাতু ও প্রীড়’ ধাতুর প্রভেদ-সম্বন্ধে তর্কের মীমাংসা করিয়া উক্ত ব্রাহ্মণগণকে স্তব্ধ করিয়া দিলেন । [ ১০৯ ] কেরল দেশীয় পণ্ডিত মণ্ডলী-বিজেতা