পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টাদশ অধ্যায় ভাষ্য-প্রণয়ন পূর্ণপ্রজ্ঞ শ্রব্যাসদেবের হৃদয়ের ভাব অবগত ছিলেন । পূর্ণপ্রজ্ঞের চিত্তবৃত্তি শ্রব্যাসদেবের সহিত একতাৎপৰ্য্যপর । গুরুর সহিত সমচিত্তগুরুদেবের সহিত সমচিত্ত বৃত্তিবিশিষ্ট না হইলে কেহ গুরুদেবের শ্রোত-সিদ্ধাস্ত বৃত্তিবিশিষ্টতা ও তদ্বাণীর ধারণ ও কীৰ্ত্তন করিতে পারেন না বা আচাৰ্য্যগুজৰায় একান্ত নৈর- ধারার সংরক্ষকও হইতে পারেন না। ‘শিষ্য’-নামতাই ভক্তিসিদ্ধান্তে ধারণ বা গুরুদেবের অন্তরঙ্গ ও বিশ্রম্ভ-সেবার “" অনুকরণ করিলেই ঐগুরুদেবের অন্তরের ভাব উপলব্ধি করা যায় না। গুরুদেবের সহিত সমচিত্তবৃত্তিবিশিষ্ট হইয়৷ গুরুদেবের বাণীর শুশ্রষায় অবিক্ষেপ-নৈরন্তর্ঘ্য-প্রভাবে তাহারই রুপায় তাহার শ্রোত-সিদ্ধান্ত-সমূহ হৃদয়ে প্রকাশিত ও প্রতিষ্ঠিত হয়। গঙ্গার তীরবর্তী আম্র ও নিম্ববৃক্ষ সমভাবে গঙ্গার রস পান করিয়া বৰ্দ্ধিত ও ফল-ফুলে শোভিত হইয়া থাকে ; কিন্তু সমভাবে পাশাপাশি উভয়ে বৰ্দ্ধিত হইলেও আম্র স্বমিষ্ট অমৃতফল ও নিম্ববৃক্ষ তিক্তফল প্রদান করিয়া থাকে ; তদ্রুপ একই সদ গুরুর পাদপদ্মে উপনীত হইয়াও যোগ্যতা ও ভাগ্যানুসারে বিভিন্ন শিষ্য বিভিন্ন প্রকারে উপলব্ধি করিয়া থাকেন । কোন কোন শিষ্যব্রুব গুরুদেবের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অভিযান করিয়াও ঐরূপ বিরুদ্ধ কাৰ্য্যকেই গুরুদেবের মতানুযায়িনী সেবা বলিয়া প্রচার করে । ছন্দোগ্য-শ্রুতিতে ব্ৰহ্মার শিষ্য ইন্দ্র ও বিরোচনের সিদ্ধান্ত-উপলব্ধির [ ১১৯ ]