পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণবাচাৰ্য্য মধব পার্থক্য হইতেই তাহ প্রমাণিত হয়। শঙ্করাচাৰ্য্যও আপনাকে ব্যাসের অনুগত বলিয়াছেন। শঙ্করাচার্য্যের অতিমানুষিক প্রভাব ও প্রতিষ্ঠা সমগ্র জগৎকে মুগ্ধ করিয়াছে, অথচ তিনি ভগবদিচ্ছায় শ্ৰীব্যাসের শ্ৰেণীত-সিদ্ধান্ত প্রচার করিবার পরিবর্তে অস্থরগণকে বঞ্চনা করিবার জন্য শ্ৰীব্যাসের বিরুদ্ধ, এমন কি, শ্ৰীব্যাসের বিচারের উৎসাদনকারী মতবাদ-সমূহ প্রচার করিয়াছেন । শঙ্করাচার্য্য শ্ৰীব্যাসের শ্রুতি-স্মৃতিপুরাণাদি শ্রেীত-বাণী-সমূহের অনুসরণ না করিয়া কল্পনা-প্রভাবে ব্রহ্মস্থত্রের ভাষ্য রচনা করিয়াছেন । কিন্তু পূর্ণপ্রজ্ঞ বেদান্ত-সূত্রের ভাষ্যে ব্যক্তিগত কোন মতের কল্পনা করেন নাই । তিনি ব্যাসকৃত প্রত্যেক স্বত্রকে ব্যাসের বাক্য-সমূহের দ্বারাই স্পষ্টরূপে ব্যাখ্যা করিয়াছেন—ইহা যে কেহ। শ্ৰীমধবরচিত বেদান্ত-ভাষ্য আলোচনা করিলেই উপলব্ধি করিতে পরিবেন । আচাৰ্য্য শঙ্কর ‘তত্ত্বমসি’ প্রভৃতি চারিটি শ্রুতি-মন্ত্রকে ‘মহাবাক্য’ বলিয়াছেন ; কিন্তু শ্ৰীমন্মধবাচাৰ্য্য বেদের এক দেশের কোন শ্রুতিকে বাছিয়া লইয়া ঐসকলকে ‘মহাবাক্য’ বলিবার প্রযত্ব করেন নাই । তিনি একমাত্র প্রণবকেই সাৰ্ব্বদেশিক-মহাবাক্যরূপে গ্রহণ করিয়াছেন এবং তৎ-প্রমাণ-স্বরূপ প্রত্যেক ব্রহ্মস্থত্রের আদিতে ও অন্তে প্রণবের উল্লেখ করিয়াছেন । t o সম্বন্ধঞ্জান ও ভক্তি-প্রতিপাদক তথা প্রতি স্বত্র ব্যাখ্যায় উত্তম অভিধেয়-বিষয়ের সমর্থক বেদবাক্যযুক্ত স্মৃতিবাক্যরাশিদ্বারা শ্রীপূর্ণপ্রজ্ঞ তাহার ব্রহ্মস্থত্রভাষ্য প্রণয়ন করিতে আরম্ভ করিলেন । এই ভায্যে একবিংশতি প্রকার কুভায্যের নিরসন হইয়াছে। ইহাতে স্বকপোলকল্পিত কোন মতবাদ নাই । সমস্ত সুত্রই শ্রব্যাসের বাক্য দ্বারা ব্যাখ্যাত হইয়াছে। ইহা সম্পূর্ণ নির্দোষ ও শ্রেষ্ঠ দেবগণের ও মাননীয়। si [ ১২০ ৷