পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টাদশ অধ্যায়—ভাষ্য-প্রণয়ন ব্রহ্মস্থত্রের একটিমাত্র বর্ণ লিপিবদ্ধ করিলেও পতিতপাবনী ভাগীরথীর তটে স্ব রম্য শ্ৰীহরিমন্দির স্থাপনের ফল লাভ হয় বলিয়া শাস্ত্রে ফলশ্রুতি শুনিতে পাওয়া যায়। কিন্তু শ্ৰীগুরু-বৈষ্ণবের শ্ৰীমুখনিঃস্থত শ্রুতির শ্রতলিপি উপলব্ধি করিয়া তাহা লিপিবদ্ধ করিলে যে কল্যাণ লাভ হয়, তাহার প্রশস্তি ব্ৰহ্মাদি দেবতাও কীৰ্ত্তন করিয়া শেষ করিতে পারেন না । বেদব্যাস যখন মহাভারত রচনা করেন, তখন একমাত্র গণেশই ব্যাসের সমস্ত সিদ্ধান্ত উপলব্ধি করিয়া ব্যাসের শ্রুতলিপি লিথিয়াছিলেন। তদ্রুপ শ্ৰীমন্মধবাচার্য্য যখন ব্রহ্মস্থত্রের ভাষ্য-রচনায় প্রবৃত্ত হইলেন, তখন মহাত্মা সত্যতীর্থ শ্ৰীগুরুদেবের শ্রুতলিপির সমগ্র অংশ লিখিয়াছিলেন । শ্ৰীমন্মধবাচার্য্য শ্রীনারায়ণের আদেশ-পালনের জন্য অন্তচরগণের সহিত অনন্তমঠ হইতে বহির্গত হইয়৷ বহু স্থান পৰ্য্যটন-পূর্বক গোদাবরীর তীরে উপস্থিত হইলেন । এই স্থানে বেদের অষ্টাদশশাখায় অভিজ্ঞ কতিপয় দিগ্বিজয়ী পণ্ডিত মধবাচাৰ্য্যকে পরীক্ষা করিবার জন্য শ্রুতিবাক্য-সমূহ উত্থাপন করিলেন । শ্ৰীমধ্ব অনায়াসে ঐ সকল প্রশ্নের মীমাংস৷ কুরিয়া ভাট্ট প্রভৃতি ছয় প্রকার সিদ্ধান্তকে খণ্ডন করিলেন। ঐ সভায় নিখিল-বেদ-সিদ্ধান্তে অভিজ্ঞ শোভনভট্ট নামে এক পণ্ডিত উপস্থিত ছিলেন । তিনি শ্ৰীমন্মধবাচার্য্যের নিকট র্তাহার ব্রহ্মস্থত্রভাষ্য শ্রবণ করিলেন । শোভনভট্ট পণ্ডিত-সভায় সকলকে বলিলেন,— “শ্ৰীমধ্ব-রচিত ভাষ্যটি যেন দক্ষিণাবৰ্ত্ত-শঙ্খ । যাহারা চুণ-ব্যবসায়ী, তাহারা চুণ প্রস্তুত করিবার জন্য বহুপ্রকার শঙ্খ আহরণ করিয়া থাকে। যদি দৈবাৎ তাহণদের ভাগ্যে দক্ষিণাবৰ্ত্ত-শঙ্খ লাভ হয় এবং তাহারা ঐ শ্রীগুরুদেবের শ্রুতলিপি লিখিবার ফলশ্রুতি শোভন ভট্ট কর্তৃক মধ্বভাষ্য-প্রশস্তি [ ১২১ ] Q