বৈষ্ণবাচার্ষ্য মধ্ব শঙ্খের মহত্ব না জানিয়া উহাকে চূর্ণ করিতে অসমর্থ হইয় অপ্রয়োজনীয় শঙ্খ বলিয় পরিত্যাগ করে, তবে যেরূপ তাহদের দুর্ভাগ্যের সীমা নাই প্রমাণিত হয়, তদ্রুপ স্থদুল্লভ অথচ ভাগ্যবশতঃ প্রাপ্ত শ্ৰীমধব-ভাষ্যকে যাহারা অপ্রয়োজনীয়-জ্ঞানে পরিত্যাগ করে, তাহীদের মতও দুভাগ কেহ নাই ।” মধবাচাৰ্য্য রজতপীঠপুরে প্রত্যাবর্তনের পথে নান-স্থানে নানাপ্রকার অদ্ভূত-বিক্রম ও ঐশ্বব্য প্রকাশ করিয়া অনন্তেশ্বরের সমীপে উপস্থিত হইলেন । শ্ৰীমধ্ব অচ্যুতপ্রেক্ষের নিকট উপস্থিত হইয় গুরুদেবের শ্ৰীচরণ বন্দন করিলেন । অচ্যুতপ্রেক্ষ মধবাচার্য্যের রজতপীঠপুরে আগমনের পূৰ্ব্বেই তৎপ্রেরিত বেদান্ত-ভাষ্য দর্শন করিয়াছিলেন । *বরকত্ত্বক আছন্ত অচ্যুতপ্রেক্ষ বেদান্ত-ভায্যের মায়াবাদ-সিদ্ধান্তে *********** अडिद्ध छिरजन । धनिख আচু্যতপ্রেক্ষ স্বভাবতঃ সদ বৈশিষ্ট্য বর্ণন • ভাবযুক্ত ছিলেন, কিন্তু কুসিদ্ধান্তের দ্বারা তাহার হৃদয় কাল-বশে আচ্ছন্ন হইয়াছিল । অচু্যতপ্রেক্ষের নিকট পূর্ণপ্রজ্ঞ নিজ-কুত ভাষ্যের বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলী বর্ণন করিলেন । এখানে সনেহ হইতে পারে যে, অচ্যুতপ্রেক্ষ—গুরুদেব, আর পূর্ণপ্রজ্ঞ –শিষ ; এমতাবস্থায় পূর্ণপ্রজ্ঞ গুরুদেবের কুসিদ্ধান্ত কিরূপেই ব৷ প্রদর্শন করেন ? অার মায়াবাদী ও কুসিদ্ধান্তগ্রস্ত ব্যক্তি কিরূপেই বা মধবাচায্যের হ্যায় সচ্ছিয্যের গুরুদেব হইতে পারেন ? মায়াবাদী কখনও গুরুপদবাচ্য নহে,—ইহাই বৈষ্ণব-শাস্ত্রের সিদ্ধান্ত । বৈষ্ণব-স্মৃতিশাস্ত্র বলিয়াছেন— মহাকুলপ্রস্থতোহপি সৰ্ব্বষজ্ঞেষু দীক্ষিতঃ ! সহস্রশাখাধ্যায়ী চ ন গুরুঃ স্তাদবৈষ্ণবঃ ॥ [ ১২২ ]
পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/১৩৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।