পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টাদশ অধ্যায়—ভাষ্য-প্রণয়ন প্রদান করেন। তাহ পাঠ করিয়া অচুতিপ্রেক্ষাচার্য্য দ্বাদশী তিথির যথাশাস্ত্র সম্মান করিতে পারিয়াছিলেন । শ্ৰীমন্মধবাচার্ষ্য তিনটী ব্রহ্মস্থত্রভাষ্য রচনা করিয়াছেন—(১) শ্ৰীমদ, ব্রহ্মস্বত্রভাষ্যম্ বা স্বত্রভাষ্যম্-এই ভাষ্যটা সৰ্ব্বাপেক্ষা বৃহৎ । ইহাতে আধুনিক শ্রেষ্ঠ বিদ্বন্মণ্ডলীর অপরিচিত অসংখ্য শ্রুতি, স্মৃতি, পুরাণ ও পঞ্চরাত্রাদির প্রমাণ দ্বারা ব্যাসের সমস্ত বাক্যই যে একসূত্রে গ্রথিত ও শুদ্ধদ্বৈত-তাৎপর্য্যপর, তাহা শ্ৰীমন্মধবাচার্য্য প্রদর্শন করিয়া স্বীয় অভূতপূৰ্ব্ব অদ্বিতীয় ব্যাসানুগত্য প্রকাশ করিয়াছেন । ইহাতে অন্য মতের স্পষ্ট খণ্ডন নাই ; কেবল শ্রীতি, স্মৃতি প্রভৃতি প্রমাণের দ্বারা সিদ্ধান্ত ও সঙ্গতি প্রদর্শিত হইয়াছে । g (২) অনুব্যাখ্যানম্ বা অহুভাষ্যম্—ইহা শ্লোকাকারে রচিত । ইহাতে শ্ৰীমন্মধবাচার্য্য তাহার পূর্ববর্তী বিভিন্ন মতবাদাচার্য্যের সমস্ত মতবাদ খণ্ডন করিয়া স্ব-মত স্থাপন করিয়াছেন । (৩) অণুভাষ্যম্—চতুরাধ্যায়াত্মক ব্রহ্মস্থত্রের প্রত্যেক অধিকরণের তাৎপৰ্য্য ইহাতে শ্লোকাকারে অতি সংক্ষেপে গুল্ফিত হইয়াছে । এই অণুভায্যমূই অচ্যুতপ্রেক্ষ প্রত্যহ পারায়ণ করিতেন । • জ্যেষ্ঠ ও আচুতিপ্রেক্ষ—এই যতিদ্বয় শ্ৰীমন্মধবাচাৰ্য্য-কৃত ভাষ্যের শ্ৰেীত-স্বসিদ্ধান্ত জগতে প্রচার করিয়া সজ্জনগণের আনন্দ বৰ্দ্ধন করিলেন । পূর্ণপ্রজ্ঞ অধিকারি-ব্যক্তিগণকে র্তাহাদের ভূজদ্বয়ে স্থদর্শনচক্র . অঙ্কিত করিয়া দীক্ষ-প্রদান ও সূত্রভায্যের স্থদর্শন অর্থাৎ স্বসিদ্ধান্ত উপদেশ করিয়া দ্বিতীয় প্রকার সুদর্শনচক্র প্রদান করিয়াছিলেন