পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উনবিংশ অধ্যায়—শ্ৰীনৰ্ত্তক-গোপাল উপহার প্রদান করিতে ইচ্ছা করিলে মধবাচার্ষ্য নাবিকের প্রার্থনা অঙ্গীকার করিয়া একখণ্ড গোপীচন্দন-মাত্র গ্রহণ করেন । সেই গোপীচন্দন ভগ্ন হইবামাত্র তন্মধ্য হইতে এক অপূৰ্ব্ব-দশন শ্ৰীকৃষ্ণমূৰ্ত্তি স্বয়ং প্রকটিত হন । শ্ৰীমন্মধবাচার্য্য সেই শালগ্রামশিলাময়ী প্রতিম! লইয়া উড়,পী-অভিমুখে যাত্র করেন। পথিমধ্যে কতিপয় মধুর স্তোত্র রচনা করিয়া তদ্বারা শ্ৰীকৃষ্ণ-মুক্তির বন্দনা করেন। শ্ৰীমধবাচার্য-রচিত সেই সকল স্তবগুচ্ছই ‘শ্ৰীমদ, দ্বাদশ-স্তোত্ৰম্‌’ নামে খ্যাত। * যে-স্থানে শ্ৰীকৃষ্ণমূৰ্ত্তি প্রকটিত হইয়াছিলেন, সেই স্থানটা পরবর্তিকালে ‘বড়ভণ্ডেশ্বর’ নামে প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছে। অধুনা এই স্থানে বড়ভণ্ডেশ্বর’ নামক বিষ্ণুমূৰ্ত্তি বিরাজিত আছেন । ‘বড়ভণ্ড’ শব্দটী কর্ণাটক-ভাষাজাত। ( বড়’—ভিন্ন, ভণ্ড’ —পিণ্ড অর্থাৎ চন্দনপিণ্ডভঙ্গ-স্থল ) । শ্ৰীমন্মধবাচাৰ্য্য এই গোপীচন্দনালিপ্ত শ্ৰীমূৰ্ত্তিকে উড় পীতে আনয়ন করিয়া উড় পাস্ত বৃহৎ সরোবরে শ্ৰীমূর্তির শ্ৰীঅঙ্গ সম্মার্জন করেন। শ্ৰীমধবাচার্যাবির্ভাবের পর হইতে উক্ত দীঘিঁক “মধ্বসরোবর’ নামে প্রসিদ্ধ হইয়াছে । “শ্ৰীকৃষ্ণ-মন্দিরে” শ্ৰীমন্মধ্বাচার্যা-প্রাপ্ত শ্ৰীবালগোপাল শ্ৰীমূৰ্ত্তি বিরাজিত ! গোপালের দক্ষিণ হস্তে দধিমন্থন-দণ্ড ও অপর হস্তে মন্থন-দণ্ডস্থত্র। শ্ৰীমুক্তির কমনীয়ত্ব বিশেষ চিত্তাকর্ষক। শ্রীচৈতন্যদেব উডুপীতে পদার্পণ করিয়া এই শ্ৰীকৃষ্ণমূত্তি দশন ও এই স্তানে প্রেমাবেশে মৃত্য-গীত-সঙ্কীৰ্ত্তন-লীলা প্রকাশ করিয়াছিলেন । শ্রীল কবিরাজ গোস্বামিপ্রভু এইরূপ বর্ণন করিয়াছেন, — "শ্ৰীমদ দ্বাদশ-স্তোত্ৰম্

  • এই গ্রন্থের পরিশিষ্টে সামুবাদ "শ্ৰীমদ দ্বাদশ-স্তোত্ৰম্‌’ প্রকাশিত হইল ।

[ s२१ ]