পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণবাচার্য্য মধব শ্ৰীমধবাচায্যকৃত ভাষ্য ও তৎসিদ্ধান্তের বহুল প্রচার দেখিয়া মায়াবাদি - সম্প্রদায় বিপদ গণিলেন । বৈদাস্তিককেশরী পূর্ণপ্রজ্ঞ রজতপীঠপুরে মধ্বাচার্য্যের অভু্যদয়-দর্শনে সমাসীন হইলে মায়াবাদিগণ ভয়ে চঞ্চল হইয়। মায়াবাদিগণের মৎসৱত উঠিল । তাহার। অত্যন্ত মৎসরতার বশীভূত হইয়া পদ্মতীর্থ ও পুণ্ডরীকপুরীর সহযোগে শ্ৰীমন্মধবাচায্য ও র্তাহার সিদ্ধাস্তকে উৎপীড়ন করিবার জন্ত নানাপ্রকার মন্ত্রণ ও ষড়যন্ত্র করিতে লাগিল । উহার মধ্যে একব্যক্তি শকুনির হ্যায় ক্র রপ্রকৃতি ছিল । সে যেমন বাচাল, তেমন কপট । যাহাতে শ্ৰীমধবপাদের প্রতি পদ্মতীর্থের কোপ ও মাৎসৰ্য বদ্ধমূল হয়, তজ্জন্ত ঐ ক্রর ব্যক্তি নানাপ্রকার যুক্তি প্রদর্শন করিয়া এইরূপ বলিতে লাগিল,—শ্ৰীমধববিজয় বা সুমধববিজয়-প্রণেতা তাহ। এইরূপ বর্ণন করিয়াছেন,-“ভগবান শঙ্কর সর্বশ্রেষ্ঠ দর্শনাচাৰ্য্য, তাহার ভাষ্য ও সিদ্ধান্ত নিখিল জগতের মিথ্যাত্র বা মায়াময়ত্ব ও একমাত্র নিৰ্ব্বিশেষ ব্ৰহ্মবস্তুকেই তত্ত্বরূপে প্রতিপাদন করিতেছে, এই সিদ্ধান্ত অতি পুরাতন ও সুদুৰ্ল্লভ । এই জগৎ প্রত্যক্ষাদি প্রমাণ ও বেদাদি বাক্যের দ্বার ভেদবিশিষ্ট্র বলিয়াই প্রতীত হইতেছে । এরূপ অবস্থায় আচাৰ্য্য শঙ্করের অভেদশাস্ত্র পাঠ না করিলে দেব, অসুর, মনুষ্য, ব্রাহ্মণ, চণ্ডাল প্রভূতির দ্বারা পরিপূর্ণ এই দৃপ্ত জগৎকে ভেদশূন্ত বলিয়। কেই বা সাধন করিতে পারে? অজ্ঞানদশার জীবের নিকট যে বিশ্ব ‘সত্য বলিয়। প্রতীত হইতেছে, আচাৰ্য্য শঙ্করের ভাষ্য সেই বিশ্বের ব্যবহারিক সত্যতা স্বীকার করিয়াছে । অতএব শ্ৰীশঙ্করভাষ্য সমস্ত বিষয়েরই সামঞ্জস্তরক্ষক । যখন জীবের জ্ঞান উৎপন্ন হয়, তখন এই বিশ্ব দগ্ধপটের হার মিথ্যা এব: জ্ঞান পরিপক্ক হইলে এই জগৎ তপ্তলেীহুপ্রাপ্ত জলের দ্যার অপৃথক্ অর্থা অভেদরূপে প্রকাশিত হইয়া থাকে। এইরূপ সৰ্ব্বমুশোভন মায়াবা Ç [ ১৪০ ]