পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণবাচাৰ্য্য মধব জ্ঞানশাস্ত্র আত্মমঙ্গলকর নহে ; শ্ৰীহরির উপাসনাপথই মঙ্গলদায়ক । পিতার এইরূপ বাক্য শ্রবণ করিয়াও তরলমতি ত্রিবিক্রম বেদান্তশাস্ত্রের রহস্ত বিচারপূর্বক মায়াবাদিগণের শাস্ত্রই আলোচনা করিতে লাগিলেন। তিমি বিচার করিলেন যে, ব্যাসদেবের রচিত বেদান্তশাস্ত্রসমূহই প্রমাণ শিরোমণি । কিন্তু জগতে ইহার যে সকল ভাষ্য প্রচারিত হইয়াছে, সেইগুলির মধ্যে পরস্পর সঙ্গতি নাই। তথাপি পূৰ্ব্বপরম্পরাপ্রাপ্ত শাস্করভাষ্যই শ্রদ্ধাসহকারে অধ্যয়ন করিব। ত্রিবিক্রম শাস্ত্রসমূহ আলোচনা করিয়া ইহা বুঝিতে পারিলেন যে, জ্ঞানানন্দ-বিগ্ৰহ শ্ৰীহরিই জীবের একমাত্র উপাস্ত ; তিনি যদি নিত্য-বিগ্রহবান না হন, তাহা হইলে তাহার জ্যোতিৰ্ম্মাত্রস্বরূপও সম্ভবপর নহে ; নির্বিবশেষস্বরূপে তমোরূপ মুক্তিই সম্ভবপর, কাজেই ঐরূপ উপাসনা জীবের কল্যাণপ্রদ নহে । যখন ত্রিবিক্রম এই সকল বিচার করিতেছিলেন, সেই সময় শ্ৰীমন্মধবাচায্যের বিশুদ্ধ কীৰ্ত্তি র্তাহার কর্ণ গোচর হইল । ত্রিবিক্রম মায়াবাদশাস্ত্রে সর্বশ্রেষ্ঠ পাণ্ডিত্য লাভ করিয়াছিলেন দেখিয়৷ মায়াবাদিগণ সেই সময় ত্রিবিক্রমাচার্য্যের নিকট উপস্থিত হইয়া বলিলেন যে,—মধবনামক এক ব্যক্তি পুৰ্ব্ব-পরম্পরাগত ত্রিবিক্রমের নিকট প্রাচীন মায়াবাদ-মত খণ্ডন করিয়া নবীন দ্বৈতমায়াবাদিগণের সিদ্ধান্ত স্থাপন করিতেছে। সুনিপুণ যুক্তিআবেদন প্রয়োগে সুপণ্ডিত ত্রিবিক্রম-ব্যতীত সেই মধবমত নিরাস করিবার উপযুক্ত দ্বিতীয় ব্যক্তি আর কেহ তৎকালে নাই। মায়াবাদিগণ ত্রিবিক্রমকে স্বজন মনে করিয়। এইরূপ প্রার্থনা জানাইলে ত্রিবিক্রম তাহাদের অনুরোধ অঙ্গীকার করিলেন । মধবাচার্য্যের শিষ্যগণের সহিত ব্রিবিক্রমের শাস্ত্রীয় বিচার আরম্ভ হইল । (t [ ১৪৪ ]