পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/১৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একবিংশ অধ্যায়—আচাৰ্য্য-লীলার ঘটনা-পরম্পর ত্রিবিক্রম তাহাদের মতবাদ খণ্ডন করিবার চেষ্টা করিলেন বটে, কিন্তু যখন রাত্রিকালে অন্তের অলক্ষ্যে শ্ৰীমধবপ্রণীত শাস্ত্রতাৎপৰ্য্য দর্শন করিলেন, তখন তিনি অস্তরে প্রসন্নতামিশ্রিত মহাবিস্ময়ে অভিভূত হইলেন, তথাপি সহসা সেই মত গ্রহণ করিলেন না। পণ্ডিত ব্যক্তিগণ সকল কাৰ্য্যই বিশেষ বিবেচনাপূর্বক করিয়া থাকেন। যাহা হউক, ত্রিবিক্রম বিষ্ণুমঙ্গলদেবালয়ে শ্ৰীমধ্বকে অন্তরের সহিত প্ৰণাম করিলেন । রাজা রাজসিংহ শ্ৰীমন্মধ্বাচার্য্যের অনুগমন করিয়াছিলেন। বিষ্ণুমঙ্গলগ্রামে আনন্দতীর্থ প্রত্যহ শিষ্যগণের সহিত প্রত্যুষকাল হইতে স্নান, নিৰ্ম্মাল্যাপসরণ, পূজা, উপনিষদ ব্যাখ্যা ও জিজ্ঞাস্কগণের সত্নত্তর দান করিতেন । কোন এক শিষ্য সমস্ত রাত্রি হরিকথা-শ্রবণ-মননকাযে জাগ্রত থাকিয়া প্রভাতকালে হঠাৎ নিদ্রাগ্রস্ত হইলে শ্ৰীমন্মধবাচায্য স্বয়ংই মানবস্ত্রাদি বহনপূর্বক স্নানার্থ গমন করেন। ঐ শিষ্য নিদ্র হইতে উত্থিত হইয় গুরুসেবা বঞ্চিত হওয়ায় অনুতাপানলে দগ্ধ হইলেন। শ্ৰীমধব শিষ্যগণের শিক্ষার্থ তাহাদিগকে শাসন করিয়া গুরু-বৈষ্ণবের উত্থানের পূৰ্ব্বে র্তাহাদের সেবার্থ শয্যাত্যাগের উপদেশ প্রদান করিলেন।

  • সেই বিষ্ণুমঙ্গলগ্রামস্থ অন্ত এক সাধারণ দেবালয়ে শ্ৰীমন্মধবাচাৰ্য্য ব্রহ্মস্থত্রের নিজকৃত ভাষ্য ব্যাখ্যা করিতে লাগিলেন । সেই সময় মায়াবাদসিদ্ধান্তে সুনিপুণ ত্রিবিক্রমাচাৰ্য্য প্রতিপক্ষ যোদ্ধার ন্যায় শ্ৰীমধবাচার্য্যের সম্মুখে উপস্থিত হইয়া তর্ক আরম্ভ করিলেন । পূর্ণপ্রজ্ঞ শ্রুতিপ্রমাণ ও সদযুক্তি-দ্বারা জ্ঞান

শিষ্যের কৰ্ত্তব্য শিক্ষা-দান ত্ৰিবিক্রমের শ্ৰীমধেবর সহিত তর্ক ও আচার্য্যের খণ্ডন У о [ ১৪৫ ]