পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একবিংশ অধ্যায়—আচাৰ্য্য-লীলার ঘটনা-পরম্পর যাহা সৎ, তাহাই কাৰ্য্যের প্রতিকারণ, যেমন কুম্ভকার। শূন্য পদার্থকে জগতের আরোপ-বিষয়ে অধিষ্ঠান বলাও সঙ্গত নহে ; কারণ, উহা অসৎ । যে পদার্থ সৎ, তাহাতেই অন্ত-পদার্থের আরোপ সম্ভবপর, যেমন শুক্তিপদার্থ সৎ বলিয়াই উহাতে রজত প্রভৃতির আরোপ হইয়া থাকে। মায়াবাদিগণ বেদকে অতত্ত্বজ্ঞতাজ্ঞাপক বলিয়া পুনরায় তাহার প্রামাণ্য স্বীকার করেন । কিন্তু এরূপ বাক্য স্বতঃই অসঙ্গত ও স্ববিরোধী । অতএব প্রকৃতপক্ষে তাহারা বেদের প্রামাণ্যও ইচ্ছা করেন না । বেদদূষক মায়াবাদিগণ যে বেদান্ত-ভাগকে তত্ত্বজ্ঞাপক বলেন, উহা কিরূপে তত্ত্বজ্ঞাপক হইতে পারে ?—যেহেতু ব্ৰহ্মনামক তত্ত্ব র্তাহাদের মতে অবাচ্য বস্তু ! মায়াবাদীর মতে “সত্যং জ্ঞানং” বাক্যসকল নির্বিশেষ ব্রহ্মে সত্যত্ব, জ্ঞানত্ব প্রভৃতি ধৰ্ম্মের সমর্থন করিতে পারে না। মায়াবাদিগণ বলিতে ব্ৰহ্ম-নিত্য- পারেন—‘সত্য প্রভৃতি শব্দ নির্বিশেষ ব্রহ্মে সবিশেষ জড়ত্ব প্রভূতি ধৰ্ম্মের অভাব-মাত্র সমর্থন করে। মায়াবাদীর এই উক্তিও সমর্থিত হইতে পারে না, কারণ, ব্ৰহ্ম—‘ভাবী-পদার্থ, তিনি কখনও জড়ত্ব প্রভৃতি ধৰ্ম্মের অভাব-স্বরূপ হইতে পারেন না । যদি মায়াবাদী বলেন যে, ‘ব্রহ্ম জড়ত্ব প্রভৃতি ধৰ্ম্মের অভাবস্বরূপ নহেন, পরন্তু জড়ত্ব প্রভৃতি ধৰ্ম্মের অভাব ব্রহ্মে আছে, তাহা হইলে এরূপ বিচারও সঙ্গত নহে ; কারণ, মায়াবাদীর মতেই নিৰ্ব্বিশেষ ব্রহ্মে ভাব ও অভাব, এই উভয়বিধ পদার্থের অভাব স্বীকৃত হইয়াছে। অতএব শূন্তবাদ ও মায়াবাদ উভয়ই সমান ; কারণ, মারাবাদি-কল্পিত ব্ৰহ্ম ও শূন্তবাদি-কল্পিত শূন্ততত্ত্বে কোন আস্তরিক ভেদ নাই । মায়াবাদী যদি ব্রহ্মের সত্তা স্বীকার করেন, তাহা হইলে ব্ৰহ্ম সবিশেষ হইয়া পড়েন। আর তাহা না হইলে ব্রহ্মের অসত্তাই লাভ হয় । বিপ্রতিপন্ন ও অদ্বৈত-স্বরূপ এই শূন্তাত্মক ব্ৰহ্মাদি Q [ •8१ ]