পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/১৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুবিবংশ অধ্যায়—শ্ৰীমধবাচাৰ্য্যকৃত গ্রন্থাবলী ২৮। নরসিংহ-নখস্তোত্ৰ—শ্ৰীত্রিবিক্রম পণ্ডিতাচাৰ্য্য একদিন শ্ৰীমধ্বাচার্য্যের ভগবৎ-পূজাকালে রুদ্ধকপাটের ছিদ্রদ্বারা তাহাকে হনুমান, ভীম ও মধব—এই ত্রিবিধরপে প্রত্যক্ষ করিয়া তৎক্ষণাৎ বায়ুর অবতারগণের স্তুতিরূপ বায়ুস্তুতি বিরচনপূর্বক পূজান্তে শ্ৰীমধবাচাৰ্য্যকে দিলে তিনি ভগবৎস্তুতিহীন নিজস্তুতি দর্শন করিয়া স্বয়ং নরসিংহস্তুতিরূপে শ্লোকদ্বয় বিরচনপূর্বক উহার পূৰ্ব্বে সংযোগ করিয়া দিয়াছিলেন । , ২৯। যমক-ভারত—ইহাতে মহাভারতের কথা ও শ্ৰীকৃষ্ণচরিত সংক্ষেপে নিরূপিত হইয়াছে। ইহার সমস্ত শ্লোকই যমকপূর্ণ, মহাজটিল ও অনুপ্রাসাদি-অলঙ্কারযুক্ত । সমগ্র মাধবকাব্য ও অন্ত কোন সম্প্রদায়ের কাব্যসমূহের মধ্যেও এরূপ দুৰ্ব্বোধ্য কাব্য আর নাই। : ৩০ । দ্বাদশ-স্তোত্ৰ—ইহা দ্বাদশাধ্যায়াত্মক মনোহর শ্ৰীবিষ্ণুস্তোত্র। ইহাতে দশাবতার ও কেশবাদি দ্বাদশ মূৰ্ত্তির ভক্তিরসপরিপূর্ণ মাহাত্মাস্বচক স্তোত্র আছে ; সুতরাং ইহা প্রত্যহ পাঠযোগ্য। এই স্তোত্রই মাধবসম্প্রদায়ে প্রধান ও প্রসিদ্ধ । ৩১। শ্ৰীকৃষ্ণামৃতমহার্ণব—এই গ্রন্থ মধবাচাৰ্য্যরত উপদেশরূপ অমৃতরাশি-পরিপূর্ণ। ই হাতে বিষ্ণুভক্ত, বৈষ্ণবসঙ্গ, হরিনামোচ্চারণ, উৰ্দ্ধপুণ্ডধারণ ও শঙ্খচক্রাদি চিহ্নধারণের মাহাত্ম্য এবং একাদশীর উপবাসবিধি, বিদ্ধ একাদশীর ত্যাগবিধি ও বিশেষভাবে নবধা ভক্তির অবগু-কৰ্ত্তব্যতা প্রতিপাদিত হইয়াছে। ৩২ । তন্ত্রসার-সংগ্ৰহ—এই গ্রন্থে ব্যাসকৃত "তন্ত্রসার’ নামক গ্রন্থোক্ত মন্ত্রসমূহের উদ্ধার, ভগবানের যাবতীয় রূপের মূলমন্ত্রসমূহের বিবরণ, ধ্যান ও বড়ঙ্গ ন্যাসাদির প্রতিপাদন, প্রতিমার্চনবিধি, বিগ্ৰহপ্রতিষ্ঠাবিধি, বিগ্রহভঙ্গে প্রায়শ্চিত্ত, দেবালয়-নিৰ্ম্মাণের ক্রম, বিষ্ণুমন্ত্রের Q 1 כר כ ]