পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষড়বিংশ অধ্যায়—দাসকুট ও ব্যাসকুট মায়াবাদি-সম্প্রদায়ের শ্রেষ্ঠ পণ্ডিতগণও ইহা স্বীকার করিতে বাধ্য হইয়াছেন। অদ্বৈতবাদী শ্ৰীমধুস্থদন সরস্বতী এই সুদর্শনচক্রতুল্য ‘স্তায়ামৃত” গ্রন্থের প্রতিপক্ষে দণ্ডায়মান হইবার জন্ত "অদ্বৈতসিদ্ধি’ নামক প্রসিদ্ধ গ্রন্থটি লিখিয়াও ন্তায়ামৃতের দার্শনিক সিদ্ধান্তের বিন্দুমাত্রও খণ্ডন করিতে পারেন নাই, তাহ আমরা শ্ৰীমধুসুদন সরস্বতীর অদ্বৈতসিদ্ধির খণ্ডন-স্বরূপ মধব-সম্প্রদায়ের শ্রীরামাচাৰ্য্যতীর্থরচিত "তরঙ্গিণী গ্রন্থে বিশেষরূপে দেখিতে পাই। "তরঙ্গিণী'র খণ্ডন-প্রয়াস-স্বরূপ কেবলাদ্বৈতবাদিসম্প্রদায় হইতে যে ‘ব্ৰহ্মানন্দীয় নামক গ্রন্থ লিখিত হইয়াছে, তাহাও যে স্বদর্শনচক্ররূপ ‘ন্তায়ামৃত” গ্রন্থরাজের অত্যদ্ভুত বৈষ্ণবতেজের নিকট সম্পূর্ণ স্নান হইয়া পড়িয়াছে, তাহার সাক্ষ্যও আমরা "ব্ৰহ্মানন্দীয়’ গ্রন্থের খণ্ডনস্বরূপ মধ্ব-সম্প্রদায়ের বনমালামিক্রয়’ নামক গ্ৰন্থরাজে মুন্দররপে দেখিতে পাই। যদি কেহ এই ‘পঞ্চ ভঙ্গী’ * একত্র আলোচনা করেন, তাহ হইলে তিনি যে, আমাদের পূর্বাচার্য্য শ্ৰীব্যাসতীর্থের অলৌকিক পাণ্ডিত্য-প্রতিভা, সুদার্শনিক বিচারপ্রণালী, অভূতপূৰ্ব্ব সদযুক্তিজাল এবং পরপক্ষের মতবাদ-নিরীকরণে অদ্বিতীয় ক্ষমতা লক্ষ্য করিয়া বিস্ময়ে ও আনন্দে পরিপ্লুত হইবেন, এ বিষয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নাই। ৮। শ্ৰীবাদিরাজতীর্থ—ইনি শ্ৰীমন্মধবাচাৰ্য্য হইতে সোদে মঠীয় শিষ্য-পরম্পরায় ষোড়শ অধস্তন । শ্ৰীমন্মধবাচার্য্যের বদরীবিজয়ের পর প্রায় ৩•• তিন শত বৎসর মধ্যে শ্ৰীবাদিরাজতীর্থের অভু্যদয়কাল। ইনি মাধব-সম্প্রদায়ের মধ্যে ‘দ্বিতীয়মধবাচাৰ্য্য” নামে খ্যাত । বৈষ্ণব-সিদ্ধান্ত

  • পঞ্চভঙ্গী—(১) ছায়ামৃত, (২) অদ্বৈতসিদ্ধি, (৩) তরঙ্গিণী, (৪) ব্ৰহ্মাননীয়, (e) বনমালামিীয়—এই পাচটি গ্রন্থকে এক সঙ্গে পঞ্চভঙ্গী বলে।

I sve 1