পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/২০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষড় বিংশ অধ্যায়—দাসকুট ও ব্যাসকুট বাদিরাজ স্বামী ত্রিবিক্রম-দেবালয়’ ও ‘প্রাণ-দেবালয়’ নামক মন্দিরদ্বয় প্রতিষ্ঠা করিয়া সেখানে ‘ধবলগঙ্গা’ নামক একটি সরোবর নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন। বাদিরাজস্বামী রজতপীঠপুর হইতে আরম্ভ করিয়া প্রদক্ষিণাকারে ভারত-মহীমণ্ডলস্থ নিখিল ক্ষেত্র, নদী, পৰ্ব্বত, দেবালয় প্রভূতি বিচরণ করিয়াছিলেন এবং স্বীয় ক্ষেত্রপরিচয়াদির সহিত স্বীয় ভারতভ্রমণ-কাহিনী একখানি গ্রন্থাকারে লিপিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন । সেই গ্রন্থখানি পদ্যাত্মক এবং ‘তীর্থপ্রবন্ধ’ নামে খ্যাত । এই "তীর্থপ্রবন্ধে’ অনেক উৎকৃষ্ট কথা পাওয়া যায়। বাদিরাজস্বামী শ্ৰীমন্মধবাচার্য্যের প্রতিষ্ঠিত অনেক সাম্প্রদায়িক আচারপদ্ধতির পুনঃপ্রবর্তন ও পরিবর্দ্ধনাদি করিয়াছেন ; তিনি শ্ৰীকৃষ্ণদেবালয়ের সেবার স্বস্তৃতার জন্য রজতপীঠপুরে সম্প্রদায়-বিশেষ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন । শ্ৰীমন্মধবাচাৰ্য্য অষ্টমঠীয় যতিগণের প্রত্যেকের শ্ৰীকৃষ্ণপূজাকাল পালাক্রমে দুই দুই মাস করিয়া ধাৰ্য্য করিয়া গিয়াছিলেন, বাদিরাজ স্বামী তাহ পরিবর্তন করিয়া প্রত্যেকের সেবাকাল দুই মাসের স্থানে দুই বৎসর ব্যবস্থা করিয়া দেন। বিশেষতঃ শ্ৰীমন্মধবাচার্য্যের কএক পুরুষ পরে অনেকে স্ব-সাম্প্রদায়িক শাস্ত্রপ্রচারে কিঞ্চিৎ উদাসীন হইয়৷ পুড়িয়াছিলেন ; কিন্তু বাদিরাজস্বামী বিশেষভাবে স্বদেশীয় আপামর সাধারণে মধ্বসিদ্ধান্ত প্রচারার্থ প্রাকুত-কর্ণাটক-পদ্যাদি রচনা করিয়া তন্মধ্যে ভগবন্মাহাত্ম্য ও শাস্ত্র-সিদ্ধাস্ত সন্নিবিষ্ট করিয়াছিলেন এবং ঐ সকল যাহাভে সৰ্ব্বদা আলোচনার বিষয় হইতে পারে, তজ্জন্ত শ্ৰীকৃষ্ণদেবালয়ে "হরিনাম-সংকীৰ্ত্তন-সম্প্রদায়" রচনা করিয়া প্রত্যহ সেই সকল পদ্যাদি সঙ্গীতাকারে সংকীর্তনের ব্যবস্থা করিয়াছিলেন । মধব-সম্প্রদায়িগণ বলেন যে, বাদিরাজস্বামীই মধ্ব-সম্প্রদায়ে প্রত্যহ দেব-মন্দিরে বিশেষ [ ১৮৭ ]