পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/২১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণবাচাৰ্য্য মধব ভগবানের বৈষম্যে নৈপূণ্য-দোষের প্রসক্তি নাই, যেহেতু জীবের দ্বারা অনাদি-কৰ্ম্মবাসনাক্রমে পূৰ্ব্বকৰ্ম্মানুসারেই ভগবান বিষ্ণু পুণ্যপাপাদি করাইয় থাকেন। অনাদি কৰ্ম্মের অনুসরণ করিয়া জীবের পুণ্যপাপাদি-কৰ্ম্মে প্রবৃত্তি করাইয়া থাকেন বলিয়া বিষ্ণু কখনও দোষী সাব্যস্ত হইতে পারেন না, যেহেতু তিনি গুণদোষাদির নিয়ামক। তিনি স্বয়ং পর অর্থাৎ তাহার শ্রেষ্ঠত্ব অন্তনিরপেক্ষ, তিনি অনাদি এবং জীবসমুহের আদি। অবতার প্রতিযুগে ভুবনসমূহ দুষ্ট দৈত্যগণের দ্বারা উপদ্রুত ও ধৰ্ম্মের গ্লানি উপস্থিত হইলে স্বয়ং ভগবান সৰ্ব্বপ্রকার প্রাণিরূপে অবতরণ করিয়া ভুবনমাল-বিধানাৰ কখনও জলজন্তু, কখনও মৃগ, কখনও পক্ষী, কখনও শ্ৰীভগবানের সর্ব- ব্রাহ্মণ, কখনও বা ক্ষত্রিয়-মধ্যে আত্মপ্রকাশ করেন । বিধ প্রাণিরূপে তিনি নানা প্রাণিরূপে অবতীর্ণ হইলেও প্রাকৃত সুখ অবতরণ ও দুঃখাদির দ্বারা পৃষ্ট হন না। কিন্তু নিজেই মায়াদ্বারা প্রাকৃত লোকের দৃষ্টিতে কখনও গর্ভস্থের তুল্য, নবজাত স্তন্তপায়ী বালকের ন্তায় ; কামুক, ভীত, দুঃখী, বিরহী, ক্ষুধার্ত, বদ্ধ, ছিন্ন, “মুগ্ধ, মলিন, বিরক্ত, মুখ এবং আঘাত বা পরাজয়-প্রাপ্ত ইত্যাদি প্রাকৃত লোকের সদৃশ অবস্থান দেখাইয়াও পরিশুন্ত স্বভাবতঃ সৰ্ব্বদোষশূন্ত থাকিয় অজ্ঞলোকদিগকে বিড়ম্বিত করেন, দৈত্যগণকে ভ্রান্ত ও বঞ্চিত করেন । এই সমুদয় ব্যাপারের পারমার্থিক রহস্ত না জানিয়া যাহারা বিষ্ণুর নিন্দ করে, তাহার তত্ত্ব না জানিয়া তাহার প্রতি ভক্তি করে না, তিনি তাহ [ २०० ]