পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/২৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণবাচার্ষ্য শ্ৰীমধব স্বামীর শুদ্ধাদ্বৈতসিদ্ধান্ত, তদীয়-সৰ্ব্বস্বত্ব’ এবং শ্ৰীনিম্বার্কের ‘চিন্ত্যদ্বৈতাদ্বৈতসিদ্ধান্ত’কে নির্দোষ ও সম্পূর্ণ করিয়া স্বীয় অচিন্ত্যভেদাভেদাত্মক অতিবিশুদ্ধ বৈজ্ঞানিক মত জগৎকে কৃপা করিয়া অৰ্পণ করিয়াছেন । স্বল্পদিনের মধ্যে ভক্তিতত্ত্বে একটিমাত্র সম্প্রদায় থাকিবে, তাহার নাম হইবে—‘শ্ৰীব্ৰহ্মসম্প্রদায় । আর সকল সম্প্রদায়ই এই ব্রহ্মসম্প্রদায়ে পৰ্য্যবসান লাভ করিবে।” { পূৰ্ব্বাপর সাম্প্রদায়িক ঐতিহ্য আলোচনা করিলে সৰ্ব্বত্রই দৃষ্ট হয় যে, বিষ্ণুশক্তি বা বিষ্ণুদাসগণের দ্বারাই সৰ্ব্বকালে সম্প্রদায়-প্রবর্তন-কাৰ্য সাধিত হইয়াছে। যদিও সনাতন-ধৰ্ম্মের মূল সনাতন পুরুষ শ্ৰীচৈতন্তকে সম্প্রদায়- جیسے প্রবর্তক বলা অসঙ্গত শ্ৰীভগবান—“ধৰ্ম্মস্তু সাক্ষাদভগবৎপ্রণীতং” (—ভাঃ ৬৩১৯ ), “ধৰ্ম্মে জগন্নাথাৎ সাক্ষান্নারায়ণাৎ” (মঃ ভাঃ শাস্তি—৩৪৮৫৪ ) প্রভৃতি বাক্যে ‘ত্রসনাতনধৰ্ম্ম শ্ৰীভগবানেরই প্রণীত বলিয়া কথিত হইয়াছে, তথাপি “অকৰ্ত্ত চৈব কর্তা চ কাৰ্য্যং কারণমেব চ” ( মঃ ভাঃ শান্তি ৩৪৮৬০ ) এবং “নেখস্তাবেন হি পরং দ্রষ্টুমহস্তি স্থরয়ঃ” ( ভাঃ ২১০৪৫ ) প্রভৃতি শব্দ-প্রমাণ-দ্বারা প্রমাণিত হয়, সৰ্ব্বকারণ-কারণ শ্ৰীভগবান ধৰ্ম্মমূল হইলেও সম্প্রদায়-প্রবর্তনাদি-ব্যাপারে তাহার সাক্ষাৎকর্তৃত্ব নাই । তৎ শক্ত্যাবিষ্ট পুরুষগণদ্বারাই তিনি সেই কাৰ্য্য সম্পাদন করিয়া থাকেন। যদি অন্যথা হইত, তাহা হইলে “ব্রহ্ম-সম্প্রদায়”, “চতুঃসন-সম্প্রদায়”, “রুদ্র-সম্প্রদায়” বা “শ্ৰী-সম্প্রদায়” নাম না হইয়া তৎপরিবর্তে ঐ সকল সম্প্রদায় “বাসুদেব-সম্প্রদায়”, “সঙ্কষর্ণ-সম্প্রদায়” বা “নারায়ণ-সম্প্রদায়” প্রভৃতি নামেই খ্যাত হইত। বিষ্ণুতত্ত্বটি সৎ বা সাত্বত সম্প্রদায়ের উপাস্ত কেন ? + শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুর কৃত ‘শ্ৰীমন্মহাপ্রভুর শিক্ষা” ৮৯ পুঃ { [ २88 ]