পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/২৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টাবিংশ অধ্যায়—শ্ৰীব্রহ্ম মাধ্ব-গৌড়ীয়-সম্প্রদায় অধিদৈবত ; তন্মধ্যে বিষ্ণুপরতত্ত্ব শ্ৰীকৃষ্ণ বা শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্ত-সম্প্রদায় সহস্ৰাধিদৈবত’ নামে প্রসিদ্ধ। যদি কেহ বলেন,–‘বিধিভক্তি-প্রচার লক্ষ্মী-ব্ৰহ্মাদি বিষ্ণুশক্তি বা বিষ্ণুজনের দ্বারা সম্ভব হইলেও রাগভক্তি-প্রচারে একমাত্র কৃষ্ণেরই সামর্থ্য, তদ্ব্যতীত অন্য কাহারও সামর্থ্য নাই”—এই বিচার যুক্তিযুক্ত বলা যাইতে পারে না, কারণ উন্নতোজ্জলরস-প্রদান ও সম্প্রদায়-প্রবর্তন এক কথা নহে । সম্প্রদায়-প্রবর্তনরূপ কাৰ্য্য শাস্ত্র-শাসন, আমায়-অঙ্গীকার, বিধি-ধৰ্ম্মপালনাদি-মূলে অবস্থিত, উহা রাগমার্গীয় ব্যাপার নহে ; উহা ঐশ্বৰ্য্যভাবব্যঞ্জক ব্যাপার, বিষ্ণু বা বিষ্ণুশক্তির কার্য্য-বিশেষ। কৃষ্ণ-তত্ত্ববিদগণ স্বতন্ত্রেচ্ছ স্বয়ংরূপের ঔদার্য্যের সহিত র্তাহার বৈভব প্রকাশ বা বিলাস বিষ্ণুতত্ত্বের কার্য্যকে একাকার করিয়া তত্ত্বানভিজ্ঞতা প্রদর্শন করেন না । কৃষ্ণপ্রিয়তম গুরুদেব আশ্রয়-জাতীয় তত্ত্ব, তিনি বিষয়-জাতীয় তত্ত্ব নহেন । বিষয়-তত্ত্ব হইয়াও শ্ৰীগৌরমুন্দর আশ্রয়লীলাভিনয়কারী আশ্রয়-তত্ত্বমাত্র নহেন । র্তাহাকে সম্প্রদায়-প্রবর্তক গুরুমাত্র জানিলে তাহার সম ও প্রতিদ্বন্দ্বী দ্বিতীয় প্রকাশ আছে, এইরূপ প্রতীতি অবশ্যম্ভাবী। . শ্রীচৈতন্ত-ভাগবতপাঠে জানা যায় যে, শ্ৰীগৌরমুন্দর শঙ্কর-সম্প্রদায়ী শ্ৰীমৎ কেশব ভারতীর নিকট সন্ন্যাস-দীক্ষা গ্রহণ করিবার পরিবর্তে কেশব Q ভারতীর কর্ণে সন্ন্যাসমন্ত্র প্রদান করিয়া কেশবভারতীকেই সন্ন্যাস প্রদান বা পরাত্মনিষ্ঠায় পরিনিষ্ঠিত করিয়াছিলেন। একাধারে কেশব-ভারতীকে কৃপা ও শাস্ত্রীয় বিধিমার্গ আচার-প্রচারার্থই ভগবান শ্ৰীগৌরমুন্দরের এইরূপ অভিনয় । সম্প্রদায়-প্রবর্তন ও প্রেম প্রচারণ এক নহে শ্রীচৈতন্ত ও শ্ৰীকেশব ভারতী [ २8¢ ] : ,