পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/২৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণবাচাৰ্য্য শ্ৰীমধব “সৰ্ব্ব-শিক্ষা-গুরু—গৌরচন্দ্র বেদে বলে । কেশব-ভারতী-স্থানে তাহা কহে ছলে ॥ প্রভু কহে, স্বপ্নে মোরে কোন মহাজন । কর্ণে সন্ন্যাসের মন্ত্র করিল কথন । বুঝ দেখি তাহা তুমি হয় কিবা নহে। . এত বলি’ প্রভু তা’র কর্ণে মন্ত্র কহে ॥ ছলে প্রভু কৃপা করি তা’রে শিষ্য কৈল । ভারতীর চিত্তে মহা বিস্ময় জন্মিল ॥” (চৈঃ ভাঃ ম ২৮১৫৪—১৫৭ ) আরও শ্ৰীচন্দ্রশেখর আচাৰ্য্যই সন্ন্যাসের যাবতীয় বিধিযোগ্য কাৰ্য্য সম্পাদন করেন। (চৈঃ ভাঃ ম: ২৮১৩৩—১৩৪ সংখ্যা দ্রষ্টব্য ) দ্বিতীয়তঃ শ্ৰীমন্মহাপ্রভু শ্ৰীবিষ্ণুস্বামি-সম্প্রদায়ের বিকৃত পরিণতি-ক্রমে শঙ্কর-সম্প্রদায়ের দশনামি-সম্প্রদায়ের অন্যতম ‘ভারতী’ –এই নাম গ্রহণ না করিয়া ‘শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্ত”–এই ব্রহ্মচারিনামই প্রচার করেন । ইহা হইতেও জানা যায় যে, শ্ৰীমন্মহাপ্ৰভু শঙ্কর সম্প্রদায় স্বীকার করেন নাই, পরন্তু শঙ্কর সম্প্রদায়ি-সন্ন্যাসিগণকে কৃপা করিয়া নিজ পাদপদ্মে আকর্ষণ করিয়াছিলেন। শ্ৰীপ্রকাশানন্দ সরস্বতী, শ্ৰীকেশব ভারতী প্রভৃতি সকলেই তাহার কৃপায় উদ্ভাসিত। তৃতীয়তঃ শ্ৰীমন্মহাপ্রভুর শ্ৰীমুখবাক্য হইতেও জানা যায়,— ‘পরাত্মনিষ্ঠা’মাত্র বেষ-ধারণ । মুকুন্দ-সেবায় হয় সংসার-তারণ ॥ (চৈঃ চঃ মঃ ৩৮১ ‘শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্ত’ এই নাম গ্রহণের কারণ [ २8७ ]