পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/২৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টাবিংশ অধ্যায়—শ্ৰীব্ৰহ্ম-মাধব-গৌড়ীয়-সম্প্রদায় কেবলাদ্বৈতবাদ-ধবাস্ত-মার্তণ্ড শুদ্ধ-দ্বৈতবাদগুরু শ্ৰীমন্মধবাচাৰ্য্য বা ভক্তিকল্পতরুর মূল শ্ৰীমাধবেন্দ্রপুরী দশনামীয় সন্ন্যাস গ্রহণ করিয়াছিলেন g বলিয়া তাহাদিগকে যেমন মায়াবাদী বা শঙ্করের শ্ৰীমধ্ব ও ভ্রীচৈতন্ত শঙ্কর- অনুগত বলা অযৌক্তিক, সেইরূপ বিচারেও శా * শ্ৰীমন্মহাপ্রভুকে শঙ্কর-সম্প্রদায়ের অন্তভুক্ত জ্ঞান করা নিতান্ত অজ্ঞতা। শ্ৰীমধব ও শ্রীচৈতন্ত শঙ্করসম্প্রদায়ের ব্যক্তিবিশেষকে মায়াবাদ হইতে উদ্ধারের জন্ত শিষ্যের প্রতি মান-দান-লীলা প্রকাশ করিয়াছিলেন । শ্ৰীগৌরমুন্দর কলিযুগে সাত্বত চতুঃসম্প্রদায়ের অন্ততম শ্ৰীব্ৰহ্ম-মাধবগৌড়ীয়-সম্প্রদায় স্বীকার করিবেন বলিয়াই জগদগুরু হইয়াও শ্ৰীঈশ্বর পুরীকে দীক্ষা-গুরু’রূপে বরণ করিবার লীলা এবং پنجحت حينه শ্ৰীগৌরাঙ্গের গুরু-গ্ৰহণ mater, সৰ্ব্বত্র সকল সময়ে শ্ৰীল ঈশ্বরপুরীপাদের প্রতি গুরূচিত সম্মান প্রদর্শন করিয়াছেন ঃ—“সংসার-সমুদ্র হইতে উদ্ধার’ আমারে । এই আমি দেহ সমৰ্পিলাম তোমারে।” (চৈঃ ভাঃ আ ১৭৫৪) শ্ৰীঈশ্বরপুরীর আবির্ভাবভূমি দর্শনে শ্ৰীমন্মহাপ্রভু যে লীলা প্রচার করিয়াছিলেন (চৈঃ ভাঃ আ ১৭৯৮-১০৮), তাহাতেও তাহার হৃদগতভাব শ্ৰীল ঠাকুর বৃন্দাবন জগজীবকে জানাইয়াছেন। ***এই মনত শ্ৰীঈশ্বরপুরীর নিকট হইতে দশাক্ষর মন্ত্র-গ্রহণ-লীলার স্বীকার করিলেন কেন ? পর শ্ৰীমন্মহাপ্রভু যে, আত্মপ্রকাশ করিয়াছিলেন (চৈঃ ভাঃ আঃ ১৭১০৬-১২৮), তাহা হইতেও জানা যায় যে, শ্ৰীমন্মহাপ্রভু শঙ্কর-মায়াবাদের প্রতিযোগী “তত্ত্ববাদ” এবং তত্ত্ববাদের চরম উদ্দেশু যে প্রেম, তাহাই প্রচারার্থ শ্ৰীমধ্বসম্প্রদায় স্বীকার, করিয়াছেন। [ २8१ ] 岛