বৈষ্ণবাচার্য্য শ্ৰীমধব ‘শ্ৰীমন্মহাপ্রভু মধ্বমতকে অঙ্গীকার করিলেন কেন ?—তদুত্তর এই যে, মধবমত বা তত্ত্ববাদের বিশেষগুণ এই যে, উহা মায়াবাদ বা কেবলাদ্বৈতবাদরূপ ভ্রমকে অধিক স্পষ্টরূপে খণ্ডন করে। “শুদ্ধ-দ্বৈতবাদের ভিত্তিতে অবস্থিত হইলে অভেদ-বাদরূপ পীড় অনেক দূরে থাকে।” দুৰ্ব্বল মানবের নিশ্চিত মঙ্গলের জন্ত শ্ৰীমন্মহাপ্রভু শুদ্ধ-দ্বৈতবাদ অর্থাৎ মধ্বমত অঙ্গীকার করিয়াছেন। অচিন্তা-ভেদাভেদ-সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক প্রণালীতে উদিত হইয়াছে। তথাপি ঐ অচিন্তা-ভেদাভেদ-সিদ্ধান্ত বিচার করিলেও দেখিতে পাওয়া যায় যে, যেখানে ‘ভেদ’ ও ‘অভেদ”—এই উভয় বাদই স্বীকৃত, সেই স্তানে ভেদবাদই প্রবল। ‘ভেদাভেদ’ শব্দদ্বয়ের মধ্যে ভেদ’ শব্দটির প্রাবল্য না থাকিলে উহার ব্যবহারেরও কোন সার্থকতা থাকে না । তবে উহ! প্রাকৃত ধারণার ‘অচিন্ত্য । তাই শ্ৰীমন্মহাপ্রভু মায়াবাদধিক্কারকারী তত্ত্ববাদ বা শুদ্ধ-দ্বৈতবাদ স্বীকার করিয়া একদিকে যেমন অভেদবাদরূপ পীড়া হইতে জীবকুলকে দূরে রাখিবার জন্ত শুদ্ধ-দ্বৈতবাদের অধিকতর উপযোগিতা প্রচার করিলেন, অপরদিকে তেমনই নিজেকে একজন নবীনপন্থার সৃষ্টিকর্তা ব| প্রবর্তক প্রচার না করিয়া সাত্বত-সম্প্রদায় শ্রেীতপথ ও আমায়ের ی .و "جیے -یے” ww... ও শ্রেীত-পথগ্রহণকারীর লীলাদর্শ প্রদর্শন পূর্বক was nar প্রগৌড়ীয়-বৈষ্ণবধৰ্ম্মের সনাতনত্ব ও সৎসাম্প্রদায়িকত্ব প্রমাণ করিলেন । এইরূপ লীলাদ্বারা শ্ৰীসনাতন-ধৰ্ম্মশাস্ত্রের পূৰ্ব্বাপর বাক্যের সহিত সঙ্গতিও সাধিত হইল। সাত্বত শাস্ত্র বলেন, সৎসম্প্রদায়-স্বীকার-ব্যতীত মন্ত্রাদি ফলদায়ক হন না,— “সম্প্রদায়বিহীনা যে মন্ত্রাস্তে বিফলা মতাঃ । অতঃ কলে ভবিষ্যন্তি চত্বারঃ সম্প্রদায়িনঃ ॥ [ ૨8ના ] ভেদাভেদ’-সিদ্ধান্তে ভেদেরই প্রাবল্য
পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/২৬৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।