পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/২৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টাবিংশ অধ্যায়—শ্ৰীব্ৰহ্ম মাধ্ব-গৌড়ীয় সম্প্রদায় শ্ৰীব্ৰহ্মরুদ্রসনকা বৈষ্ণবাঃ ক্ষিতিপাবনাঃ । চত্বারস্তে কলে ভাব্য হ্যৎকলে পুরুষোত্তমাৎ ॥” (—শ্ৰীপদ্মপুরাণ) কেহ কেহ বলেন, “শ্ৰীঈশ্বরপুরীর ভক্তিভাবপ্রবণতার প্রাধান্ত দর্শন করিয়াই শ্ৰীমন্মহাপ্রভু তাহাকে গুরুত্বে বরণ করেন। হয়ত তৎকালে বিশিষ্টাদ্বৈত-সম্প্রদায়ের তাদৃশ কোন ভক্তিমান বৈষ্ণব র্তাহার নয়নগোচর হইলে তিনি র্তাহাকেই গুরুত্বে বরণ করিতেন, মধ্বসম্প্রদায়ের ভক্তিবিহীন ব্যক্তিকে কেবল সম্প্রদায়ানুরোধে গুরুত্বে বরণ করিতেন না ।” এইরূপ যুক্তিতে বহু ভ্রম প্রবেশ করিয়াছে। ভক্তিবিহীন ব্যক্তি ‘গুরুপদবাচ্যই নহেন। গুরুত্ব জাতি বা বংশগত ব্যাপার নহে!— ইহা প্রচার করিবার জন্তই শ্ৰীমন্মহাপ্রভু সদগুরু-গ্ৰহণলীল প্রদর্শন করিয়াছিলেন। যাহা হউক, বর্তমানে ইহা আমাদের আলোচ্য বিষয় নহে । আমরা কেবল উপরি-উক্ত ব্যর্থযুক্তির প্রতিপক্ষে বলিতে চাই যে, শ্ৰীমন্মহাপ্রভু যদি একমাত্র মধ্বসম্প্রদায়কেই স্বীকার করিবার উদ্দেঙ্গের বশবৰ্ত্তী না হইয়। কোনও বিশেষ কারণবশতঃ অর্থাৎ কেবল পুরুষ-বিশেষের ভক্তিপ্রবণতা দেখিয়াই তাহাকে গুরুরূপে বরণ করিতেন, তাহা হইলে বলিতে হয় যে, তৎকালে, দক্ষিণদেশে শ্ৰীমন্মধবাচাৰ্য্য-সম্প্রদায়-ব্যতীত দক্ষিণদেশের অন্তসম্প্রদায়ের লোকগুলি ‘নানা-মত-গ্ৰাহ-ব্যাপ্ত ছিল। কারণ, তাহা না হইলে অদ্বৈতাচাৰ্য্য প্রভুই বা কেন শ্ৰীমধ্বসম্প্রদায়ের শ্ৰীমন্মাধবেন্দ্রপুরীকে গুরু স্বীকার করিবার লীলা প্রদর্শন করিবেন ? আবার সেইরূপ ভ্রম শ্ৰীমন্নিত্যানন্দ প্রভুরই বা [ ২৪৯ ] o মতবাদিগণের পুর্বপক্ষ পুর্বপক্ষ খণ্ডন