পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/২৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টাবিংশ অধ্যায়—শ্ৰীব্ৰহ্ম-মাধব-গৌড়ীয়-সম্প্রদায় শ্ৰীবেঙ্কট ভট্ট প্রভৃতি যাহারা শ্ৰীমন্মহাপ্রভুর কৃপালাভের পূৰ্ব্বে ‘শ্রী’সম্প্রদায়ের অন্তভুক্ত বলিয়া পরিচয় প্রদান করিতেন, তাহারাও o শ্ৰীমন্মহাপ্রভুর কৃপালাভের পর শ্ৰীব্রহ্মসম্প্রপূর্বে শ্ৰী’সম্প্রদায়ান্তর্গত দায়ানুগত্যে শ্ৰীমন্মধেবর উপাস্ত শ্ৰীগোরকৃষ্ণের *টে ভগণিত ভজন লাভ করিয়াছিলেন। আর যদি শ্ৰীমন্মহাপ্ৰভু *"" মধ্বসম্প্রদায় স্বীকার নাই করবেন, তাহ হইলে গত্য-স্বীকার শ্ৰীল কবিরাজ গোস্বামী প্রভু শ্ৰীমধ্বসম্প্রদায়ের শ্ৰীমাধবেন্দ্রপুরীপাদকে প্রেমামরতরুর প্রথম অঙ্কুর’ বলিয়া বর্ণন করিবেন কেন ? অকৃত্রিম বেদাপ্তভাৰ্য শ্ৰীমদ্ভাগবতের সন্দর্ভ অর্থাৎ গৃঢ় ও সারোক্তি-প্রকাশক, সিদ্ধান্ত-সাম্রাজ্য-রক্ষণেক-সেনাপতি, শ্ৰীকৃপামুগবর শ্রমজীব-গোস্বামি-চরণ র্তাহার সন্দর্ভের প্রারম্ভে “বিবিচ্য ব্যলিখদ গ্রন্থং লিখিতাদ-বৃদ্ধবৈষ্ণবৈঃ ”—এই বাক্যে জানাইয়াছেন যে, বৃদ্ধবৈষ্ণব পূর্ণপ্রজ্ঞ শ্ৰীমন্মধবাচার্য্যবিলিখিত সিদ্ধান্তই সন্দর্ভের মূল ; কারণ, দক্ষিণাত্যনিবাসী শ্ৰীগৌরপার্ষদ শ্ৰীল গোপালভট গোস্বামিপাদ সেই আকর গ্রন্থ হইতেই বিশেষ বিচার পূর্বক সার সংগ্রহ করেন। * তত্ত্বসন্দর্ভ-টীকায় শ্ৰীবিদ্যাভূষণ প্রভু লিখিয়াছেন,—“মধবাচাৰ্য্য-চরণৈরিতি অত্যাদর-স্বচক-বহুত্ব-নির্দেশঃ স্বপূৰ্ব্বাচাৰ্য্যত্বাদিতি বোধ্যম”। গৌরপার্ষদ শ্ৰীকবিকর্ণপুর গোস্বামি-প্ৰভু শ্ৰীগৌরগণোদেশদীপিকাগ্রন্থে (২১-২৬ ংখ্যায়) ও শ্ৰীগোপালগুরু গোস্বামী শ্ৰীগৌরানুগত গৌড়ীয়-বৈষ্ণবাচাৰ্য্যবৰ্গকে ব্ৰহ্মমাধবসম্প্রদায়ের অধস্তনরূপে বর্ণন করিয়াছেন। গৌড়ীয়-বেদান্তাচাৰ্য্য শ্ৰীবলদেব ‘শ্ৰীগোবিন্দভাষ্য’, ‘প্রমেয়রত্নাবলী প্রভৃতি গ্রন্থে শ্ৰীমন্মহাপ্ৰভু মধ্বসম্প্রদায় স্বীকার করিয়াছিলেন বলিয়াই বিশেষরূপে কীৰ্ত্তন করিয়াছেন।” [ ২৫১ ] 塾 শ্ৰীমধবাচার্ষ্যের সম্বন্ধে শ্ৰীজীব, কর্ণপুর ও শ্ৰীবসদেব