বৈষ্ণবাচাৰ্য্য শ্ৰীমধব স্কন্দপুরাণেও আছে যে—যেমন একজলে অন্তজল নিক্ষেপ করিলে তাহার সহিত উহা মিশ্রিত হইয়া যাওয়ায় লোকের মনে হয় যেন নিক্ষিপ্ত জল পূৰ্ব্বজলস্বরূপ হইয়া গিয়াছে ; সেইরূপ জীবও ব্রহ্মের সহিত তাদাত্ম্য প্রাপ্ত হইলেও “জীব ব্ৰহ্ম হইয়াছেন” এইরূপ ব্যবহার হইয়া থাকে, বস্তুতঃ জীব ব্রহ্মস্বরূপ প্রাপ্ত হ’ন না। কারণ ব্ৰহ্ম—“স্বতন্ত্র, জীব—পরতন্ত্র (ব্রহ্মের অধীন ) ; ব্রহ্ম—বিভূপদার্থ, কিন্তু জীব—অণুপদার্থ; এইরূপ উভয়ের স্বরূপগত বিবিধ পার্থক্য-বশতঃ একে অন্তের স্বরূপ হইতে পারেন না । ব্ৰহ্মা বা শঙ্কর প্রভৃতি দেবগণও যাহা লাভ করিতে সমর্থ নহেন, সেই কৈবল্য-অবস্থা যাহার স্বরূপ—তিনি কেবল-স্বরূপ পরমারাধ্য শ্ৰীহরি। (৪) “অতো জলে জলৈকীভাববদেকীভাবঃ। উক্তঞ্চ—যথোদকং শুদ্ধে শুদ্ধং যথা নষ্ঠ ইত্যাদে তত্ৰাপ্যন্তোন্তাত্মকত্বে বৃদ্ধ্যসম্ভবঃ ” ( গীতা ২য় অঃ মধ্বভাষ্য ) —অতএব এস্থলে একীভাব’ শব্দের অর্থ—এক জলে অপর জলের একীভাবের ন্তায় বুঝিতে হইবে । শাস্ত্রেও আছে যে—যেমন—“শুদ্ধজলে একীভাৰ’ শব্দের শুদ্ধজল একীভূত হয় এবং যেরূপ নদীসকল মিলিত তাৎপৰ্যা হইয়া একীভাব প্রাপ্ত হয়’ ইত্যাদি । বস্তুতঃ যদি এক জলের সঙ্গে অপর জল মিলিত হইয়া পূৰ্ব্বজল-স্বরূপই হইয়া যাইবে, তাহা হইলে আর সে স্থলে জলের বৃদ্ধি সম্ভবপর নহে। - (6) যথা সমুদ্রে বহুবস্তরঙ্গাস্তথা বয়ং ব্রহ্মণি ভূরি জীবাঃ। ভবেৎ তরঙ্গে ন কদাচিদব্ধিত্বং ব্রহ্ম কৰ্ম্মাদ্ভবিতাসি জীব ॥ ( তত্ত্বমুক্তাবলী ) —যেমন সমুদ্রে বহু তরঙ্গ বিদ্যমান রহিয়াছে, সেইরূপ ব্রহ্মেও আমরা বহুজীব অবস্থান করিতেছি, কিন্তু সেজন্ত তরঙ্গ কখনও সমুদ্রস্বরূপ (i. [ २¢७ ]
পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/২৭৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।