বৈষ্ণবাচাৰ্য্য শ্ৰীমধব মালায় বলিয়াছেন,—“শ্ৰীমন্মধবাচাৰ্য্য ভেদকে নিত্য বলিয়া স্থাপন করায় অচিন্ত্যভেদাভেদমতই যথার্থ নিশ্চিত হইয়াছে।” “তত্ত্বমস্তহংব্রহ্মাস্ট্রীত্যাদিষু জীবস্ত পরেণাভেদঃ প্রতীয়তে। নিত্যে নিত্যানাং চেতনশ্চেতনানাং’, ‘দ্ব সুপর্ণা’ ইত্যাদিষু ভেদঃ । অত উচ্যতে মধ্বভাস্থে ‘অচিন্ত্য’ ভিন্নোইচিন্ত্যঃ পরমে জীবসজঘাৎ જૂન: পরে, জীবশব্দ সজোহপূর্ণ । * * সৰ্ব্বং খলুিদং ব্রহ্ম ইতি। ভবিষ্ণুপুরাণে চ–‘ভিন্ন জীবাঃ পরে ভিন্নস্তথাপি জ্ঞানরূপতঃ । প্রোচ্যন্তে ব্ৰহ্মরূপেণ বেদবাদেষু সৰ্ব্বশ: ॥’ ইতি ॥” ( মধৰভাষ্য ২।৩২৮-২৯ ) ‘তত্ত্বমসি’ ( ছাঃ ৬৮৭ ), “অহং ব্ৰহ্মাস্মি’ ( বুঃ আঃ ১৪১০ ) প্রভৃতি শ্রতিবাক্যে পরতত্ত্বের সহিত জীবাত্মার অভেদ প্রতীত হয় । আবার নিতো নিত্যানাং, চেতনশ্চেতনানাং (কঠ ২১৩ ও শ্বে ৬১০ ), ‘দ্ব সুপর্ণ’ (মুঃ ৩১, শ্বেঃ ৪।৬) প্রভৃতি শ্রতিবাক্য-দ্বারা ভেদ সিদ্ধ হইতেছে। এইপ্রকার বিরুদ্ধ শ্রতিবাক্যের সমাধান কি প্রকারে হইতে পারে, তন্নিমিত্ত বলিতেছেন,—অচিন্ত্য পরমতত্ত্ব বিষ্ণু জীবসঙ্ঘ হইতে ভিন্ন । পরমতত্ত্ব—পূর্ণ এবং জীব—অপূর্ণ অর্থাৎ খণ্ডচেতন। অতএব সৰ্ব্বং খনৃিদং ব্ৰহ্ম’ ( ছাঃ ৩১৪১ ) প্রভৃতি অভেদপ্রতিপাদক শ্রুতি-বাক্যের সমাধান এইপ্রকার যথা, ভবিষ্যপুরাণে উক্ত হইয়াছে—জীবসকল ভিন্ন, পরতত্ত্ব ভিন্ন ; উভয়েই চেতন স্বর্থাৎ জ্ঞানস্বরূপ বলিয়া বেদে সৰ্ব্বত্রই তদুভয়ের একত্ব বা জীবকে ব্রহ্মস্বরূপে নির্দেশ করা হইয়াছে। - অগ্নিং মণিবকং বদস্তি কবয়ঃ পূর্ণেন্দুবিম্বং মুখং নীলেন্দীবরমীক্ষণং কুচতটং মেরুং করং পল্লবম্। আহাৰ্য্যভ্রমতো ভবেৎ পুনরিয়ং ভেদেইপ্যভেদ মতিঃ কর্তব্য গতির দৃশী খলু তথা ব্ৰহ্মাহমশ্মি শ্ৰতেঃ। [ २७० ]
পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/২৭৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।