পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/২৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টাবিংশ অধ্যায়—শ্ৰীব্ৰহ্ম-মাধব-গৌড়ীয়-সম্প্রদায় কবিগণ ব্রাহ্মণবটুকে—অগ্নি, বদনমণ্ডলকে—পূর্ণচন্দ্রবিম্ব, চক্ষুকে— নীলপদ্ম, কুচতটকে—মেরু এবং করকে—পল্লব বলিয়া থাকেন ; কেননা, আহাৰ্য্যভ্রম অর্থাৎ কাল্পনিক ভ্রমবশতঃ অগ্নি ও ব্রাহ্মণবটুতে ভেদ-সত্ত্বেও সাদৃশু-ঐক্যবোধে প্রথম ব্যবহৃত হয়, তদ্রুপ ‘অহং ব্রহ্মাক্ষি’ ( বৃঃ ১৪১০ ) প্রভৃতি শ্রুতিতেও ‘ব্ৰহ্ম’ ও ‘অহং—যে জীব, ইহাদের নিত্যভেদসত্ত্বেও প্রাদেশিক-সাদৃশু-বশতঃ অভেদমতি-প্রদর্শনপূর্বক প্রথমার ব্যবহার হইয়াছে। তাৎপৰ্য্য এই, ব্রহ্ম ও জীবে নিত্যভেদ আছে। চিজ্জাতিত্বে ঐক্যবশতঃ এক প্রদেশে অভেদ থাকায় “অহং’ ও ‘ব্ৰহ্ম’—এই উভয় পদে প্রথম বিভক্তির ব্যবহারে দোষ নাই । একদিকে যেমন শ্ৰীমন্মধবাচাৰ্য্যপাদ ভেদ ও অভেদ উভয় প্রকার শ্রীতিকে নিত্যরূপে ( ঔপচারিক ভেদাভেদ-বাদীর ন্তায় ব্যবহারিকরূপে নহে ) গ্রহণ ও সন্মান করিয়া প্রকারান্তরে অচিন্ত্যভেদাভেদবাদই স্বীকার করিয়াছেন, অপরদিকে তেমন সনাতনপুরুষ ভগবান শ্ৰীগৌরমুন্দর অচিন্ত্যভেদাভেদসিদ্ধান্তমধ্যে নিত্যভেদবাদেরই প্রাবল্য প্রদর্শন করিয়া মধ্বমতকেই অঙ্গীকারপূর্বক উহাকে সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক আকার প্রদান করিয়াছেন। শ্ৰীমন্মধবাচার্য্যের উদ্ধত ব্ৰহ্মতর্কে’র বাক্যে “অচিন্ত্য” ও “ভেদাভেদ” শব্দের প্রয়োগ ও ঐ সিদ্ধান্তের ইঙ্গিত পাওয়া যায়— Q অবয়ব্যবয়বানাং চ গুণানাং গুণিনস্তথা । • শক্তিশক্তিমতোশ্চৈব ক্রিয়ায়াস্তদ্বতস্তথা ॥ স্বরূপাংশাংশিনোশ্চৈব নিত্যাভেদে জনাৰ্দ্দনে । জীবস্বরূপেষু তথা তথৈব প্রকৃতাবপি ॥ চিদরূপায়ামতোহনংশ। অগুণ অক্রিয় ইতি । হীন। অবয়বৈশ্চেতি কথ্যন্তে তুত্বভেদতঃ ॥ [ ২৬১ ]