পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/২৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টাবিংশ অধ্যায়—শ্ৰীব্ৰহ্ম-মাধব-গৌড়ীয়-সম্প্রদায় সিদ্ধান্তের সহিত এই মতের কোন বিরোধ নাই। তবে যে, শ্ৰীমন্মহাপ্ৰভু চরিতামৃতের মধ্য ৯ম অধ্যায়ে “কৰ্ম্মানন্দ, কৰ্ম্মত্যাগ সৰ্ব্বশাস্ত্রে কহে”— গ্রচৈতন্তদেব হরিসেবামু- এইরূপ বাক্য বলিয়াছেন, তাহার তাৎপৰ্য্য অন্তরূপ । কুল কৰ্ম্মানন্দক কৰ্ম্ম’ শব্দে ফল-কামনা-মূল৷ আত্মেন্দ্রিয়-তৰ্পণরূপী बाटङ्ञ চেষ্টা ; তাদৃশ চেষ্টা-বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ বিষ্ণুর উদ্দেশে যে যাগযজ্ঞাদি বিধান করিয়া থাকেন, তাহা বিশুদ্ধ কৰ্ম্ম ; সুতরাং তাহা কখন গৌণরূপেও ভক্তিসচিব হইতে পারে না । কিন্তু যে কৰ্ম্ম ধৰ্ম্মের * উদ্দেশে কৃত হয় এবং যে ধৰ্ম্ম বিরাগের নিমিত্ত অনুষ্ঠিত হয় ও যে বিরাগ ভগবৎপাদপদ্ম-সেবার জন্যই হইয়া থাকে, তাহ গৌণরূপে অভিধেয় হইতে পারে ; কেন না, তাদৃশ কৰ্ম্ম জীবকে ফলোৎপাদনরূপ অর্থশৃঙ্খলে জড়িত না করিয়া কৰ্ম্মবন্ধন হইতে মুক্ত ও পরমার্থের উদ্দেশ করিয়া থাকে। যথা, আমায়স্কৃত্রে—“যত্র ধৰ্ম্মায় কৰ্ম্ম বিরাগায় ধৰ্ম্মশ্চিন্দ্রসায় বিরাগস্তত্র গৌণরূপেণ কৰ্ম্মৈবাভিধেয়ম্।।” এই ভক্তিই উন্নতাধিকারে একটি নূতন আকার ধারণ করে, তাহাই শ্ৰীমন্মহাপ্রভুর প্রচারিত শুদ্ধভক্তি। ভক্তিই যে, একমাত্র সাধন, ইহা শ্ৰীমধকাচাৰ্য্য-সম্প্রদায়ে সংক্ষিপ্তমধ্বমত-প্রকাশক একটি শ্লোকেও পঠিত হইয়া থাকে, যথা—“অমলা ভক্তিশ্চ তৎসাধনং ” এই স্থানে সন্দেহ হইতে পারে যে, যদি এইরূপই সিদ্ধান্ত হইবে, তাহা হইলে শ্ৰীমন্মহাপ্রভু উড় পী-ক্ষেত্রে তদানীন্তন তত্ত্ববাদী আচাৰ্য্যকে এইরূপ বলিলেন কেন ? “মুক্তি, কৰ্ম্ম—দুই বস্তু ত্যজে ভক্তগণ । সেই দুই স্থাপ’ তুমি সাধ্য-সাধন ॥” (চৈঃ চঃ ম ৯২৭১ ) [ २७१ ]