বৈষ্ণবাচাৰ্য্য শ্ৰীমধব তদানীন্তন তত্ত্ববাদী আচাৰ্য্য রঘুবৰ্য্যতীর্থের বা তদনুগত শিষ্যবর্গের কিম্বা শ্ৰীমন্মধবাচার্য্যের পরবর্তী তত্ত্ববাদিগণের মতকে শ্ৰীমন্মধবাচাৰ্য্যপাদের প্রকৃত মত বা সিদ্ধান্ত বলিয়া স্থাপন করা যাইতে পরবৰ্ত্তি-ত্তত্ববাদিগণের o পারে না। পরবর্তী অনুগতক্রব ব্যক্তিগণ যদি তাহদের s. পূৰ্ব্বমুলাচার্য্যের প্রবর্তিত ও প্রচারিত সিদ্ধান্ত হইতে বিচ্যুত হন, তাহা হইলে পরবর্তী বিকৃত মতকেই মূল গুরুর সিদ্ধান্ত বলিয়া স্থাপন করা কোন প্রকারেই যুক্তি বা দ্যায়-সঙ্গত নহে। “আউল,’ ‘বাউল, “প্রাকৃতসহজিয়া’ প্রভৃতি ব্যক্তিগণ শ্ৰীমন্মহাপ্রভুর অধস্তন, অনুগত ও গৌড়ীয়-বৈষ্ণব-সম্প্রদায়ের অধীন বলিয়া পরিচয় দিয়া থাকে ; কিন্তু তাই বলিয়া তাহাদের বিকৃত মত বা অপসিদ্ধাস্তুকে শ্ৰীমন্মহাপ্রভুর প্রচারিত বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত বলা যাইতে পারে না । কিংবা কোন আচাৰ্য্য যদি জগতে উদিত হইয়া মহাপ্রভুর অনুগতক্রব আউল, বাউল, সখীভেকী, প্রাকৃত প্রাকৃতসহজিয়াদির
- " সহজিয়া, গেীরনগর, জাতি-গোস্বামী প্রভৃতির बउ धंéन ज८झ বিকৃত মত খণ্ডন করেন, তাহ হইলে উক্ত আচাৰ্য্য
মহাপ্রভুর বা গোস্বামিগণের মত খণ্ডন করিয়াছেন, এরূপ অযৌক্তিক বিচার সুধী-সমাজে কিছুতেই গৃহীত হইতে পারে না । “তত্ত্ববাদিগণের মত বা রঘুবৰ্য্যতীর্থের সিদ্ধান্তিত ব্যক্তিগত মত শ্ৰীমন্মহপ্রভু শাস্ত্র-যুক্তিদ্বারা খণ্ডন করিয়াছিলেন বলিয়া তিনি সাত্বত-সম্প্রদায়চতুষ্টয়ের অন্যতম পূৰ্ব্বাচাৰ্য্য শ্ৰীমন্মধেবর প্রবর্তিত শ্রেীতমত খণ্ডন করিয়াছেন, অতএব শ্ৰীমন্মহাপ্রভু কখনও শ্ৰীমন্মধ্ব-সম্প্রদায় স্বীকার করেন নাই”—এরূপ যুক্তি নিতান্ত বালভাষিত। শ্ৰীমন্মধবাচার্য্যের প্রকৃত মত হইতে পরবর্তী তত্ত্ববাদিগণের মত অনেক পার্থক্য লাভ করিয়াছে। [ २७v ]