পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/২৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টাবিংশ অধ্যায়—শ্ৰীব্ৰহ্ম-মাধ্ব-গৌড়ীয়-সম্প্রদায় তাহা শ্ৰীমন্মধ্বপাদের লেখনী এবং আধুনিক তত্ত্ববাদিগণের আচার-প্রচার ও লেখনী আলোচনা করিলেই বেশ বুঝা যায়। কেহ কেহ বলেন যে, শ্ৰীমন্মধ্বমতে শ্ৰীমহাভারতই একমাত্র প্রমাণ বা শাস্ত্র’ বলিয়া গৃহীত, কিন্তু শ্রীচৈতন্যদেবের মতে শ্ৰীমদ্ভাগবতই একমাত্র শ্ৰীমধবমতে কি মহা- অমল-প্রমাণ | “শ্ৰীমন্মহাভারত-তাৎপৰ্য্য” নামক ভারতই মুলপ্রমাণ, স্বরচিত গ্রন্থেও শ্ৰীমন্মধবাচাৰ্য্যপাদ শ্ৰীমহাভারতকে ভাগবত নহে ? একমাত্র শাস্ত্র-রূপে গণনা না করিয়া শ্রুতি, * স্মৃতি, সাত্বত পুরাণ ও পঞ্চরাত্রকেও প্রমাণ বা শাস্ত্ৰ-মধে। গণনা করিয়াছেন, যথা— “ঋগাদয়শ্চ চত্বারঃ পঞ্চরাত্রঞ্চ ভারতম্। . মূলরামায়ণং ব্রহ্মস্বত্রং মানং স্বতঃস্মৃতম্।” - (মঃ ভাঃ তাঃ মিঃ ১৩০-৩২ ) পুনরায় শ্ৰীগীতাভাষ্যে—“পঞ্চরাত্ৰং ভারতঞ্চ মূলরামায়ণং তথা । পুরাণং ভাগবতং চ বিষ্ণু বেদ ইতীরিতঃ । অতঃ শৈবপুরাণানি যোজ্যান্তহাবিরোধতঃ ।” (গীঃ ভাঃ ২য় অঃ ) পুনরায় ব্রহ্মস্থত্ৰভাষ্যে ( ১১13 ),--“ঋগ যজুঃসামাথর্বাশ্চ ভারতং পঞ্চরাত্ৰকম্‌। মূলরামায়ণঞ্চৈব শাস্ত্রমিত্যভিধীয়তে ৷ যচ্চানুকুলমেতস্ত তচ্চ শাস্ত্ৰং প্রকীৰ্ত্তিতম্। অতোহন্তে গ্রন্থবিস্তোরা নৈব শাস্ত্রং কুবক্স তৎ ॥— ইতি স্কান্দে । সাংখ্যং যোগঃ পাশুপতং বেদারণ্যকমেব চ ইত্যারভ্য বেদপঞ্চরাত্রয়োরৈক্যাভিপ্রায়েণ পঞ্চরাত্রস্তৈব প্রামাণ্যমুক্তমিতরেষাং চ ভিন্নমতত্বং প্রদশ্য মোক্ষধৰ্ম্মেস্বপি ” * শ্ৰীমন্মধবাচাৰ্য্য শ্ৰীমদ্ভাগবতকে ব্রহ্মস্থত্র, মহাভারত, গায়ত্রী ও বেদের অর্থনির্ণায়ক গ্রন্থ বলিয়া উক্তি করিয়াছেন, যথা শ্ৰীভাগবত-তাৎপর্য্যে— [ ২৬৯ ]