পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ অধ্যায় বাস্থদেবের বাল্য-লীলা পাজক একটী ক্ষুদ্র পল্লী ;–স্কুদ্রা হইলেও পরম সৌভাগ্যবতী । এই পল্লী-লক্ষ্মী নিযুত পাপনাশিনী তটিনীর বারি-ধারায় স্নান করিতেছে, রামবিজয়োৎসব-বাসরে ধমুস্তীর্থ ইহার অঙ্গভূষণরূপে শোভিত থাকিয়া মধবাবির্ভাব লোকলোচনানন্দ বৰ্দ্ধন করিতেছে । আজ আবার এক মহাসৌভাগ্য-সিন্দুর-রেখা তাহার ললাটে রাজ-টীকার মত উজ্জল হইয়া উঠিয়াছে। আজ শ্রীরামচন্দ্রের বিজয়োৎসব, বিষ্ণুভক্তগণের মহা-আনন্দের দিন । বিষ্ণুভক্তগণ এই দিনে হরিগুণকীৰ্ত্তনমুখে উর্জব্রতারম্ভের অধিবাস করিয়া থাকেন । এই দিনে ভক্তগণের মধ্যে পরস্পর আনন্দ-আলিঙ্গন হইয়া থাকে। এই মহানন্দের মধ্যে ভবিষ্যতে যিনি “আনন্দতীর্থ” নামে বিখ্যাত হইবেন, সেই মহাপুরুষ পাজকা-পল্লীর নারায়ণ ভট্টের পর্ণকুটার অলস্কৃত করিয়া বেদবিদ্যার অঙ্কে অবতীর্ণ হইলেন । সেই সময় এক আকাশবাণী হইল ; ভূতলস্থ মানবগণ কৌতুহলের সহিত শুনিতে পাইলেন,—“হে সাধুগণ ! আপনারা সস্তুষ্ট হউন, ফুর্জনগণ সন্তাপগ্ৰস্ত হউক, পৃথিবীতে সম্প্রতি বায়ুদেব অবতীর্ণ হইলেন।” এই দৈব-বাণীর সহিত দেবপুরে এক গম্ভীর কুন্দুভিধ্বনি হইতে লাগিল । পণ্ডিত মধ্যগেহ প্ৰভু অনন্তেশ্বরের আরাধনা করিয়া গৃহে ফিরিতেছিলেন ; গৃহের অনতিদূরে আসিয়াই সেই দুন্দুভিনাদ শুনিতে পাইলেন । পরে পুত্র-রত্বের জন্মবাৰ্ত্ত শ্রবণ করিয়া শ্ৰীহরির কৃপাভিষেক উপলব্ধি দৈব-বাণী