পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ অধ্যায়—বাস্থদেবের বাল্য-লীলা উঠিতেছে দেখিয় সরলা বালিকা কিংকৰ্ত্তব্যবিমূঢ়া হইয়া নানাপ্রকার বিচার পূর্বক শিশুকে কতকগুলি অত্যন্ত উষ্ণ কুলখকলার ( কৃৰ্ত্তি কলাই ) ভোজন করাইলেন। বামুদেবের জননী কিন্তু বালকের উষ্ণরোগ আশঙ্ক। করিয়া বালককে দুগ্ধ পর্য্যন্ত শীতল অবস্থায় পান করাইতেন । শিশু বাসুদেবকে অধিকক্ষণ সরলা বালিকা কস্তার নিকট রাখিয়৷ অন্তত্র রহিয়াছেন, ইত্যবসরে বালক নিশ্চয়ই পিপাসিত হইয়া ক্রনদন করিতেছে,—এইরূপ চিন্তাকুল-হৃদয়ে বাসুদেবের জননী যখন গৃহে ফিরিয়া বালককে শান্ত ও ক্ষুধা-নিবৃত্ত দেখিতে পাইলেন, তখন তিনি অতিশয় বিপদ গণিলেন । বাসুদেব-জননী কস্তার নিকট বালকের ক্ষুধানিবৃত্তির কারণ জিজ্ঞাসা করিয়া জানিতে পারিলেন, বালিক। শিশু বাসুদেবকে কতকগুলি উষ্ণ কলাই ভোজন করাইয়াছে। বাসুদেবজননী বালিকার এই কথা শ্রবণ করিয়া ‘হায় হায়’ করিতে লাগিলেন এবং বালিকাকে বহু তিরস্কার করিয়া বলিতে লাগিলেন,—“যে বস্তু যুবকগণের পক্ষেও দুষ্পাচ্য, সেই কলাই উষ্ণাবস্থায় ভোজন করাইয়৷ তুই আজ সৰ্ব্বনাশ করিয়াছিস্ ! এ বালক আর কিছুতেই পরিত্রাণ পাইবে না, ভীষণ উদরাময়-রোগে শীঘ্রই ইহার মৃত্যু ঘটবে।” মাতা শিশুকে ক্ৰোড়ে স্থাপন করিয়া বারংবার স্তন্য পান করাইতে লাগিলেন, পিতা শিশুর মঙ্গলের জন্ত নানাপ্রকার রক্ষণ-মন্ত্র জপ করিতে লাগিলেন, প্রতিবেশি-জন নানাপ্রকার ব্যবস্থা দিতে লাগিলেন, কি প্রকারে এই বালকের রক্ষা হয়, তদ্বিষয়ে সকলেই ব্যস্তসমস্ত হইয়। পড়িলেন। কিন্তু বালকের কোন অনিষ্টই হইল না ; বালক সুস্থ শরীরে বর্তমান থাকিয়া রমণীয় হাস্ত-রসায়নে মাতাপিতার হৃদয়ানন্দ বৰ্দ্ধন করিতে লাগিলেন । অনিষ্ট হইবেই বা কেন ? পূৰ্ব্বে যে , সৰ্ব্বশক্তিমান I 8:S I